সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোজা পথে সবাই হাঁটে, তবে কঠিন পথ পেরিয়ে যাঁরা গন্তব্যে পৌঁছন, তাঁদের কাছে সাফল্যের স্বাদ একটু বেশিই মিষ্টি৷ যেমনটা হয়েছে রাজস্থানের হরিশ ধনদেবের ক্ষেত্রে৷
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে দিব্যি কাজ করছিলেন জয়সলমের মিউনিসিপাল কাউন্সিলে৷ হঠাৎ জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল দিল্লির এক কৃষি প্রদর্শনী৷ সেখান থেকেই চাষের নেশায় পেয়ে বসল হরিশকে৷ চাষের জন্য ছেড়ে দেন সরকারি চাকরিও৷
প্রথমে অনেক ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়েছিল৷ শুনতে হয়েছিল অনেক কথা৷ কিন্তু কোনও কথাতে কান না দিয়ে একমনে উন্নত প্রজাতির অ্যালো-ভেরা বা ঘৃতকুমারীর ফার্ম গড়ে তোলেন হরিশ৷ কষ্ট করে যে বীজ রোপণ করেছিলেন, তার ফল ততখানিই মধুর হয়ে ফিরে এসেছে হরিশের কাছে৷ দিনে দিনে বেড়েছে তাঁর প্রসেসড অ্যালোভেরার চাহিদা৷ পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে৷ এখন রাজস্থানের এই সিভিল ইঞ্জিনিয়ার থেকে কৃষক হওয়া যুবকের বার্ষিক আয় ১.৫ থেকে ২ কোটি টাকা৷
দেশের প্রথমসারির এফএমসিজি কোম্পানিগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে অর্ডার তো আসেই, সেই সঙ্গে ব্রাজিল, হংকং ও আমেরিকার মতো দেশগুলিতে রফতানি হয় হরিশের অ্যালো-ভেরা৷ ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছে পতঞ্জলি বিশেষজ্ঞদের সার্টিফিকেটও৷ গত চারমাসে শুধুমাত্র হরিদ্বারেই ১২৫-১৫০ টন অ্যালো-ভেরা পাঠিয়েছেন হরিশ৷ চাকরি ছেড়ে অনেকেই ব্যবসা করে কোটপতি হন, কিন্তু চাষ করেও যে সফল হওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন হরিশ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.