Advertisement
Advertisement

Breaking News

ওলিম্পিকে ইতিহাস গড়লেন দীপা কর্মকার

এর আগে কোনও ভারতীয় মহিলা জিমন্যাস্ট অলিম্পিকে যাওয়ার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেননি।

Gymnast Dipa Karmakar qualifies for women's individual vault final
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 8, 2016 9:40 am
  • Updated:August 8, 2016 2:55 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাস গড়লেন বাঙালি কন্যা দীপা কর্মকার। রিও ওলিম্পিকে মহিলাদের জিমন্যাস্টিক্সে ভল্ট ইভেন্টের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে ষষ্ঠ হয়ে ফাইনাল রাউন্ডে পৌঁছে গেলেন তিনি। প্রথম ভারতীয় হিসেবে জিমন্যাস্টিকের কোনও বিভাগের মূলপর্বে পৌছলেন ত্রিপুরার এই জিমন্যাস্ট। এর আগে কোনও ভারতীয় মহিলা জিমন্যাস্ট অলিম্পিকে যাওয়ার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেননি। আটজনকে নিয়ে এবার মূলপর্বের লড়াই হবে৷ দীপার সেখানে কোয়ালিফাইং রাউন্ডে স্থান হয়েছে ষষ্ঠ৷ স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন অর্থাত্‍ ১৪ আগস্ট রাত ১১.১৭ মিনিটে ঠিক হবে দীপার ভাগ্যে পদক আছে কি না৷

দীপার রাউন্ড যখন শেষ হয় তখনও দুটো রাউন্ড বাকি৷ তাও আবার পৃথিবীর সব বিখ্যাত জিমন্যাস্টদের মধ্যে অনেকেই তখন নামেননি৷ দুরু দুরু বুকে বসেছিলেন দীপা৷ তখনও বুঝতে পারছিলেন না আদৌ তাঁর পক্ষে মূল পর্বে যাওয়া সম্ভব হবে কিনা৷ তবে মনের মধ্যে একটা ভরসা ছিল৷ আস্থা না থাকলে কখনও চার রাউন্ড শেষ করে এসে বলতে পারতেন না, তিনি খুশি পারফরম্যান্সে৷ সত্যিই তো খুশি হওয়ার মতোই খবর৷ জীবনের সেরা পয়েন্ট তো এখানেই সংগ্রহ করেছেন৷ ওলিম্পিকের আসরে এসে অধিকাংশ অ্যাথলিটের পারফরম্যান্স লেভেল নেমে যায়৷ পারিপার্শ্বিক চাপ, ভয়, আশঙ্কা তখন মনকে বড্ড বেশি দোটানায় ফেলে দেয়৷ অথচ ব্যতিক্রমী হয়ে সেখানে রয়ে গেলেন ত্রিপুরার মেয়েটি৷ ভল্টিংয়ে সেরা পারফরম্যান্স করে পৌঁছে গেলেন মূলপর্বে৷

জিমন্যাস্টিকসে চারটে ইভেন্ট আছে৷ ভল্টিং, বার ইভেন, ফ্লোর এক্সারসাইজ ও ব্যালেন্সিং বার৷ আলাদা আলাদা করে চারটে ইভেন্টে আটজন করে মূলপর্বে যেতে পারেন৷ আর একটা ইভেন্ট থাকে চারটে মিশিয়ে৷ অর্থাত্‍ ভল্টিং, বার ইভেন, ফ্লোর এক্সারসাইজ ও ব্যালেন্সিং বার-এ মোট সংগৃহীত পয়েণ্টের উপর সোনা-রুপো-ব্রোঞ্জ পাওয়া নির্ভর করে৷ দীপা মূলপর্বে গিয়েছেন স্রেফ ভল্টিংয়ে৷ অন্য কোনও ইভেন্টে নয়৷ ভল্টিংয়ে দু’বার পারফর্ম করেন৷ যারমধ্যে প্রথমে তাঁর পারফরম্যান্স ছিল বেশ ভাল৷ করেছিলেন ১৫,১০০ পয়েণ্ট৷ কিন্তু দ্বিতীয় তথা শেষবারে সেই পয়েণ্ট কমে গিয়ে দাঁড়ায় ১৪,৬০০-তে৷ ফলে গড় গিয়ে দাঁড়িয়ে যায় ১৪,৮৫০ পয়েণ্টে৷ অথচ একই ইভেন্টে আমেরিকার সিমোনের পয়েন্ট ১৬,০৫০৷ ফাইনালে পৌঁছে লড়াই করাটা সত্যিই চাপের৷

দীপা অবশ্য বলছিলেন, “রাতেও ঘুমোতে পারিনি৷ মানসিক চাপের জন্য৷ ফ্লোরিং-এর সময় তো ব্রাজিলিয়ানদের চিৎকারে ঠিকমতো মিউজিক শুনতে পারছিলাম না৷ তবে ফাইনালে যখন গিয়েছি, তখন শেষ চেষ্টা করবই৷ জানি কাজটা কঠিন৷ যথেষ্ঠ শক্ত৷ কিন্তু সহজে হাল ছেড়ে দেব না৷ শেষ দেখে ছাড়ব৷” পাশে থাকা কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীও জানিয়ে দিলেন, এবার তাঁদের আসল লড়াই শুরু হল৷ জীবনের প্রথম অলিম্পিক্সে নেমেই সকলকে চমকে দিয়েছেন ২৩ বছরের এই বাঙালি কন্যা। আগামী ১১ তারিখ অগাধ প্রত্যাশা বুকে নিয়ে টিভির সামনে বসবেন অসংখ্য ভারতবাসী। ত্রিপুরার তরুণীর আরও একটি নিখুঁত ভল্টের অপেক্ষায়। দীপাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিতাভ বচ্চন-সহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement