ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাইলটের গাফিলতিতেই কেরলের কোঝিকোড় (Kerala Plane Crash) বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল বন্দে ভারত মিশনের বিমানটি। প্রাণ গিয়েছিল ২১ যাত্রীর। দুর্ঘটনার ১৩ মাস পরে দুর্ঘটনার কারণ সংক্রান্ত সরকারি রিপোর্টে এমনই তথ্য সামনে এল। একাদিক জাতীয়স্তরের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
২০২০ সালের ৮ আগস্ট। ভারতীয় বিমান চলাচলের ইতিহাসের অন্যতম কালো দিন। ‘বন্দে ভারত মিশনে’ এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Express) বিমানে চাপিয়ে ১২৭ জন যাত্রীকে দুবাই থেকে ভারতে ফেরানো হচ্ছিল। কেরলের (Kerala) কোঝিকোড় বিমানবন্দরের মাটি ছুঁতেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বিমানটি। কেন ঘটন এমন ঘটনা, নিছকই দুর্ঘটনা নাকি গাফিলতির জেরেই প্রাণ গিয়েছিল ২১ জনের, তা জানতেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। সূত্রের খবর, শনিবার রাতে ২৫৭ পাতার একটি রিপোর্ট জমা করে ওই কমিটি। রিপোর্টে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সূত্রের খবর, রিপোর্টে দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বিমান চালকের গাফিলতিকেই তুলে ধরা হয়েছে ওই রিপোর্টে। বলা হয়েছে, “অবতরণ করার সময় স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি বা সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করেননি পাইলট। রানওয়েতে অর্ধেক রাস্তা পেরিয়ে যাওয়ার পর ‘গো অ্যারাউন্ড’ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরোয়া করেননি তিনি। এগিয়ে যান পাইলট। তাঁর গাফিলতিতেই বিমান নিয়ন্ত্রণ হারায়।” কী এই গো অ্যারাউন্ড সতর্কতা?
বিমান চলাচলের পরিভাষায় গো অ্যারাউন্ডের অর্থ, পাইলট যদি বুঝতে পারেন যে অবতরণ সুরক্ষিত নয়, তখন ‘গো অ্যারাউন্ড’ বলে অবতরণের পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। এক্ষেত্রে ঘন মেঘে থাকায় পাইলট বুঝতেই পারেননি যে তিনি অবতরণের সময় রানওয়ে ছেড়ে বেশকিছুটা এগিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু মনিটরিং পাইলট একাধিকবার তাঁকে গো অ্যারাউন্ডের সংকেত দেন। কিন্তু পাইলট তা মানেননি। যার জেরে দশকের অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকে ছিলে কেরলের কোঝিকোড় বিমানবন্দর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.