রাহুল চক্রবর্তী: নিজের বাড়িতে একচিলতে জমি৷ সেখানে চাষ করে উৎপাদিত হবে অ্যাজোলা৷ ১৮ দিনের এই প্রকল্পে উপভোক্তা পাবেন তিন হাজার টাকা৷ নারেগা প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত অ্যাজোলা কালটিভেশন৷ গ্রামীণ এলাকায় কোনও মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন৷ ১৮ শ্রমদিবস৷ আর তাতে দৈনিক ১৭৬ টাকা করে দেওয়া হবে ৩১৬৮ টাকা৷ প্রকল্পের বিষয়বস্তু? জমির পরিমাণ, লম্বায় আড়াই ফুট ও চওড়ায় দেড় ফুট৷ এই ছোট্ট জমিতে প্লাস্টিক বিছিয়ে জল ধরে রাখা হবে৷ মাত্র ৫০০ গ্রাম অ্যাজোলা সাত দিনের মধ্যে বৃদ্ধি পাবে কয়েক কেজিতে৷ গবাদি পশুর খাবার হিসাবে ব্যবহৃত হয় এই অ্যাজোলা৷ জমিতে সার হিসাবে ব্যবহার করা যায়৷
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামীণ এলাকায় বিডিও, গ্রাম পঞ্চায়েতে মাধ্যমে অ্যাজোলা কালটিভেশন নিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে৷ প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের লক্ষ্য দুটি৷ একদিকে নিজের বাড়িতে ছোট্ট জমিতেই অ্যাজোলা উৎপাদন করা যাবে৷ উৎপাদিত অ্যাজোলা আবার গবাদি পশুর খাবার ও জমির কাজে ব্যবহার করা যাবে৷ দ্বিতীয়ত, এই কাজের জন্য দৈনিক টাকা পাবেন জব কার্ড হোল্ডার৷ উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বলেন, “জেলার বিভিন্ন ব্লকে অ্যাজোলা কালটিভেশনের কাজ চলছে৷ সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে৷” উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, ২০ জুলাই থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে৷ ছয় মাসে ২ হাজার ৭৩৪ জন মানুষের কাছে পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে৷ প্রথম ১৫ দিনের মধ্যে বনগাঁ, বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন ব্লক থেকে চারশোর উপরে নাম নথিভুক্ত হয়েছে বলে জানান প্রশাসনের আধিকারিকরা৷ ডিস্ট্রিক্ট নোডাল অফিসার প্রণব সাঙ্গুই বলেন, “অ্যাজোলা কালটিভেশনের একাধিক সুবিধা রয়েছে৷ খাবারের সঙ্গে মেশালে গরুর দুধ দেওয়ার পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যাবে৷”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.