Advertisement
Advertisement

Breaking News

সরকারি ফ্ল্যাট দখলমুক্ত করতে নোটিস

জোর করে কাউকে উচ্ছেদ নয়, নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে৷ কিন্তু অনন্তকাল সরকারি ফ্ল্যাট দখল করে থাকার দিন এবার শেষ৷

government will give notice to leave govt flats
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 12, 2016 9:06 am
  • Updated:August 12, 2016 9:06 am  

কিংশুক প্রামাণিক: অবসরের পর সরকারি ফ্ল্যাট দখল করে থাকা আর যাবে না৷ দ্রুত ছেড়ে দিতে হবে৷ এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করল আবাসন দফতর৷ শীঘ্রই আবাসিকরা সরকারি নোটিস হাতে পাবেন৷ তবে জোর করে কাউকে উচ্ছেদ নয়, নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে৷ কিন্তু অনন্তকাল সরকারি ফ্ল্যাট দখল করে থাকার দিন এবার শেষ৷

জানা গিয়েছে, আবাসন দফতর এই ধরনের ফ্ল্যাটের সংখ্যা চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে৷ প্রাথমিক তথ্য অনুয়ায়ী এমন দখল করা সরকারি ফ্ল্যাটের সংখ্যা ৩৪২৩৷ এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে আবাসন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেন, “হ্যাঁ, আমরা নোটিস পাঠাচ্ছি৷ সরকারি কর্মচারী হওয়ার সুবাদে অনেকে ফ্ল্যাট পেয়েছিলেন৷ কিন্তু অবসরের পর তাঁকে তো সেটি ছাড়তেই হবে৷ এটাই সরকারি নিয়ম৷ হাজার হাজার কর্মী ফ্ল্যাট পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন৷ আবেদনের পাহাড় জমেছে দফতরে৷ যাঁর প্রয়োজন তাঁকে আমরা দিতে পারছি না৷ অথচ, সময় শেষ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও বছরের পর বছর অনেকে সরকারি ফ্ল্যাট দখল করে রয়েছেন৷ এবার তাঁরা সেগুলি ছেড়ে দিন৷”

Advertisement

আবাসন দফতর সূত্রে আরও খবর, সংখ্যাটা সাড়ে তিন হাজারের মতো চিহ্নিত হলেও, আরও হাজার দেড়েক এমন ফ্ল্যাট আছে, যেগুলি নানা অনিয়ম করে দখল করা রয়েছে৷ সেই ঘুঘুর বাসাও যে এবার ভাঙা হবে, সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়েছে আবাসনমন্ত্রীর উদ্যোগে৷ তবে শুধু অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীই নয়, ভাড়া না দিয়ে ফ্ল্যাট দখল করে থাকা ব্যক্তিদেরও চিহ্নিত করতে শুরু করেছে আবাসন দফতর৷ অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এঁরা ফ্ল্যাট কার্যত জবরদখল করে রয়েছেন৷ ভাড়া দেওয়াও বন্ধ৷ নানা মহলে প্রভাব খাটিয়ে এঁরা এতদিন পার পেয়েছেন৷ কেউ টিকিটিও ছুঁতে পারেনি৷ এবার তাঁদের নোটিস পাঠানো হচ্ছে৷ তাতে বলা হবে, বকেয়া ভাড়া মেটাও, না হলে ছাড়তে হবে ফ্ল্যাট৷ এমন দখলীকৃত ফ্ল্যাটের সংখ্যাও নেহাত কম নয়৷

বস্তুত, সরকারি কর্মীদের কম ভাড়ায় থাকার সুযোগ করে দিতেই সরকারি আবাসন তৈরি হয়৷ কিন্তু বাম জামানায় অভিযোগ ওঠে, কো অর্ডিনেশন কমিটির সদস্য তথা নিজেদের লোক ছাড়া কাউকেই এই রেন্টেড ফ্ল্যাট দেওয়া হয় না৷ নিম্ন আয় গ্রুপের সরকারি কর্মীদের মধ্যেও বৈষম্য করা হয়৷ শোভনবাবু এদিন সেই অভিযোগ সামনে এনে বলেন, “এটা তো সত্যিই বাম জামানায় দলের লোক ছাড়া কাউকেই সরকারি ভাড়ার ফ্ল্যাট দেওয়া হত না৷ যোগ্যতা থাকলেও কর্মীরা বঞ্চিত হত৷ এ জিনিস আর তো বরদাস্ত হতে পারে না৷ আমরা চাই, সরকারি ফ্ল্যাট দখলমুক্ত হোক৷ যাঁর দরকার তিনি পান৷ অবসরের পরও যাঁরা ফ্ল্যাটে রয়েছেন তিনি ছেড়ে দিন৷ নতুনরা সুযোগ পাক৷” সরকারি সূত্রে খবর, অতীতে সরকারি ফ্ল্যাট দখলমুক্ত করার প্রচেষ্টা হলেও তা সম্ভব হয়নি৷ এবার সরকার খুবই কঠোর৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement