ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: কোচবিহারের ৫১টি ছিটমহলের বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য কেন্দ্রের অর্থে তিস্তার উপর তৈরি হবে নদী-ব্রিজ৷ এই সেতু যুক্ত করবে হলদিবাড়ি ও মেখলিগঞ্জকে৷ আবার দিনহাটা, মাথাভাঙা, মেখলিগঞ্জ আর হলদিবাড়িতে তৈরি হবে অত্যাধুনিক বাস টার্মিনাস৷ এ ছাড়াও হলদিবাড়ি, দিনহাটা ও মাথাভাঙা হাসপাতালের আধুনিকীকরণের কাজও শুরু হবে৷ এই তিনটি প্রকল্পের আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৪৬১ কোটি টাকা৷ এ ছাড়াও সড়কপথে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য কোচবিহার-দিনহাটা-গীতালদহকে এক সুতোয় গেঁথে জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত করা হবে৷ এই বাবদ খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১২০ কোটি টাকা৷
ছিটমহলগুলি ভারতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর ওই এলাকার বাসিন্দাদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রায় ১০০৯ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্র থেকে ইতিমধ্যেই প্রকল্প রূপায়ণের জন্য দু-দফায় ১৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে৷ তারমধ্যে মাত্র ছয় মাসেরও কম সময়ে রাজ্য সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ১৩২ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা খরচ করেছে৷ এরমধ্যে জরুরি ভিত্তিতে গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন প্রকল্প, সেচ, হাসপাতালগুলিতে বৈদ্যুতিকীকরণ ও নতুন সড়ক তৈরি ও সংস্কার রয়েছে৷
ছিটমহলগুলির বাসিন্দাদের আধুনিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য রাজ্যের পক্ষে দফায় দফায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়৷ তারমধ্যে যেমন রয়েছে ছিটমহলের বাসিন্দাদের অস্থায়ী বাড়ি তৈরি করে দেওয়া, তেমনই স্থায়ী আবাসন করে দেওয়ার মতো ব্যবস্থাও রয়েছে৷
কোচবিহার জেলাশাসকের দফতর থেকে পাওয়া সূত্রকে উদ্ধৃত করে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ছিটমহলের প্রায় এক হাজার বাসিন্দা ২২৫টি পরিবারের জন্য এখনই আবাসন তৈরি করে দেওয়া প্রয়োজন৷ এই বাবদ খরচ ধরা হয়েছে ৮৮.৫০ কোটি টাকা৷ অস্থায়ী আবাসন, ত্রাণ বা রেশন আরও বেশকিছু লঙ্গরখানা দরকার৷ স্বরাষ্ট্র দফতরের ওই আধিকারিক বলেন, এই তিনটি প্রকল্প দ্রুত রূপায়ণের জন্য আনুমানিক ১৮.৯৯ কোটি টাকা প্রয়োজন৷ সম্প্রতি নবান্নে পাঠানো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পাঠানো তথ্যে বলা হয়েছে, ৫১টি ছিটমহলের আধুনিকীকরণের জন্য দু’দফায় আরও ২৯৮.৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.