নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল: জার্মানি- ১, ইতালি- ১
পেনাল্টি শুট আউট: জার্মানি-৬, ইতালি-৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতালি-দুঃস্বপ্ন কাটল জার্মানির। এবারের ইউরোর ‘দীর্ঘতম’ টাই-ব্রেকারে কোন্তের ছেলেদের হারিয়ে শেষ চারে লো-ব্রিগেড৷ সেমি ফাইনালে ফ্রান্স ও আইসল্যান্ড ম্যাচের বিজয়ী দলের মুখোমুখি হবেন ন্যুয়ার-ওজিলরা।
কেন ইতালি দুঃস্বপ্ন?
কারণ, ২০১২ ওয়ারশ ইউরোর সেমিফাইনালে ইতালির সঙ্গে সর্বশেষ সাক্ষাৎকে ‘অবিস্মরণীয়’ করে রেখেছিলেন মারিও বালোতেলি। সেদিন জোড়া গোল করে ইতালীয় স্ট্রাইকারের জার্সি খুলে ঘোরানোর সাক্ষী আজকের জার্মান দলের ন্যুয়ার-ওজিল-ম্যুলাররা। সেদিন জয় নিয়ে ফেরা বুফোঁ-বোনুচ্চিও এদিন ছিলেন ইতালি দলে। সবচেয়ে বড় কথা, ওই ম্যাচেও জার্মানির কোচ লো-ই ছিলেন। আজ তাই শুরু থেকেই কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে প্রথমার্ধে নিজেদের হাফেই বল খেলে গেলেন জার্মানরা৷ পাল্টা ইতালিও সেভাবে আক্রমণে গেল না প্রথমার্ধে৷ ২৮ মিনিটের মাথায় সোয়ানস্টাইগারের গোল অফসাইড বলে ঘোষণা করেন রেফারি৷ ৪০ ও ৪১ মিনিটের মাথায় দু-দুটি হাফ চান্স পেয়েও গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ হয় জার্মানি। গোলের সুযোগ হারান ম্যুলার৷ কাউন্টার অ্যাটাকে ইতালিও সহজ সুযোগ নষ্ট করে ৪৪ মিনিটে।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে জার্মানরা ‘ম্যান টু ম্যান মার্কিং’ স্ট্র্যাটেজি নিয়ে চাপে ফেলে দেয় কোন্তের ছেলেদের৷ জার্মানির ব্যূহ ভাঙতে গিয়ে ৫৫-৫৮ মিনিটের মধ্যে তিনবার হলুদ কার্ড দেখলেন ইতালির খেলোয়াড়রা৷ ৬৫ মিনিটের মাথায় হেক্টরের নিখুঁতভাবে বাড়িয়ে দেওয়া পাস থেকে গোল করেন মেসুট ওজিল৷ তাঁর হাফভলি বুফোঁর হাত ছাড়িয়ে প্রায় ৮ গজ দূর থেকে সটান ঢুকে যায় গোলে৷ ৬৮ মিনিটের মাথায় ফের বুফোঁকে হারানোর সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন ওজিল৷ সেই সময় ইতালিকে দেখে মনে হচ্ছিল, ২৫ মিনিট বাকি থাকতেই তাঁরা যেন হেরে বসে আছে৷ কিন্তু ৭৬ মিনিটের মাথায় বক্সের ভিতর হ্যান্ডবল করে বসেন বোটেং৷ পেনাল্টি পায় ইতালি৷ কোনওরকম ভুলচুক না করে ন্যুয়ারকে টপকে জালে বল জড়িয়ে দেন বোনুচ্চি৷ নির্ধারিত সময় তো নয়ই, বরং অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও ম্যাচ অমীমাংসিতই রয়ে যায়৷ ঠিক যেমনটা হয়েছিল ১৯৭০ ও ২০০৬ সালে৷ এদিনের ম্যাচকে ইউরোর ‘প্রাক-ফাইনাল’ বলা হচ্ছিল, সেই ম্যাচ গড়ায় টাই-ব্রেকারে৷
কিন্তু সেখানেও নাটক! জার্মানির হয়ে পেনাল্টি মিস করেন ম্যুলার, ওজিল, সোয়াইনস্টাইগার৷ অন্যদিকে ইতালির জাজা, পেল্লে ও বোনুচ্চি জার্মানদের জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন৷ সাডেন ডেথ-এ জার্মানির বোটেং স্কোর করলেও ড্যারমিয়ার শট আটকে দেন ন্যুয়ার৷ এরপর হেক্টরের বুট থেকে আসে জয়সূচক গোল৷ টাই-ব্রেকারে ৬-৫ গোলে জেতে জার্মানি৷ একইসঙ্গে ৯৩ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটল এদিন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.