স্টাফ রিপোর্টার: পাঁচ বছরে রাজ্যের মোট উৎপাদন দ্বিগুণ হল৷ এই সময়ে কোনও রাজ্যের আয়ের এমন ব্যাপক পরিবর্তন অবশ্যই উল্লেখযোগ্য৷ ২০১০-১১ সালে বাম জমানার শেষের দিকে রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি ছিল প্রায় ৪.৬১ লক্ষ কোটি টাকা৷ ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরের বর্তমান সময়ের তথ্য অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে জিডিপি-র পরিমাণ হয়েছে প্রায় ৯.২০ লক্ষ কোটি টাকা৷ অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজ্য সরকার যেভাবে পরিকল্পনাখাতে বরাদ্দ বাড়িয়েছে, তার ফলেই নানা ক্ষেত্রে সম্পদ তৈরি হয়েছে৷ সেই সম্পদই মূলত রাজ্যের সামগ্রিক আয় বাড়ানোর বড় কারণ৷
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেও এই প্রসঙ্গ তুলেছেন৷ তিনি বলেছেন, “দেশের মধ্যে বাংলাকে সেরা করাই আমাদের লক্ষ্য৷ দায়বদ্ধতা৷ এবং আমার পুরো ‘পশ্চিমবঙ্গ পরিবার’ এই কাজের জন্য উৎসর্গীকৃত৷” মুখ্যমন্ত্রীও উল্লেখ করেছেন, এত বড়মাপের সাফল্য বা জাম্পের পিছনে অন্যতম কারণ পরিকল্পনাখাতে খরচ ব্যাপক-বৃদ্ধি৷
পাশাপাশি মূলধনীখাতে উত্তরোত্তর খরচ বাড়ানোর ফলেও বিশাল স্থায়ী সম্পদ তৈরি হয়েছে৷ অর্থনৈতিক গবেষকরা মনে করেন, মূলধনীখাতে টাকা খরচ হলে তার চারগুণ টাকার প্রভাব তৈরি হতে পারে৷ সেই সরল অর্থনীতিই কাজে দেয় পরবর্তীতে৷ রাজ্যের ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছে৷
গত ২০১০-১১ সালে রাজ্যে পরিকল্পনাখাতে খরচ হয়েছিল প্রায় ১৪ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা৷ ২০১৫-১৬ সালে এই খরচ চারগুণ হয়েছে৷ ২০১৫-১৬ সালে পরিকল্পনাখাতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫৪ হাজার ৬৯ কোটি টাকা৷ ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের জন্য অবশ্য এই খাতে আরও প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা বাড়তি ধরা হয়েছে৷
অন্যদিকে, মূলধনীখাতে বরাদ্দ ওই পাঁচ বছরে প্রায় সাতগুণ হয়েছে৷ বাম জমানার শেষ আর্থিক বছরে রাজ্যে মূলধনীখাতে বরাদ্দ পরিমাণ ছিল প্রায় ২,২২৫ কোটি টাকা৷ শেষ হওয়া অর্থবর্ষেই সেই পরিমাণ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা৷ মূলধনীখাতে এত বরাদ্দ-বৃদ্ধি অন্য রাজ্যের ক্ষেত্রেও নজিরবিহীন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.