২০১৯-এ ব্লকবাস্টার হিট থেকে মেগা-ফ্লপ সবই দেখেছেন দর্শকরা। তবে এবছর বেশ কিছু বিগ বাজেটের বলিউড ছবি মুখ থুবড়ে পড়েছে। মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করেও বক্স অফিসে সেভাবে লক্ষ্মীলাভ হয়নি। আরও একবার এরকম Cine-Disaster দেখতে চান না দর্শকরা। সেরকম ৫ ছবির তালিকা SangbadPratidin.in–এ৷
কলঙ্ক: স্টারকাস্টই সার। হাবেভাবে গর্জালেও দর্শকমনে বিন্দুমাত্র ছাপ ফেলতে পারেনি এই ছবি। আলিয়া ভাট, বরুণ ধাওয়ান, সঞ্জয় দত্ত, মাধুরী দীক্ষিত, সোনাক্ষী সিনহা থেকে আদিত্য রায় কাপুর- প্রথম সারির তারকামুখও শেষরক্ষা করতে পারেনি। প্রাপ্তি বলতে ছোট চরিত্রে কুণাল খেমু। দুর্বল চিত্রনাট্যের জেরে জোর ধাক্কা খেয়েছে। এককথায়, ২০১৯ সালের বলিউড কলঙ্ক অভিষেক বর্মন পরিচালিত ‘কলঙ্ক’।
স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার টু: প্রথম ছবির ধারেকাছেও যায়নি ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ সিক্যুয়েল। করণ জোহর পরিচালিত যে ছবি দিয়ে বলিউডে পা রেখেছিলেন আজকের তিন তারকা- আলিয়া ভাট, বরুণ ধাওয়ান এবং সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। ঝাঁ চকচকে কলেজ, হোস্টেল- লার্জার দ্যন লাইফ গোছের সেই ছবির সিক্যুয়েল হচ্ছে শুনেই দর্শকরা প্রত্যাশায় ছিলেন। তবে টাইগার শ্রফ, অনন্যা পাণ্ডে, তারা সুতারিয়া অভিনীত ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার টু’ মুক্তি পেতেই বোঝা গেল সে প্রতীক্ষা বিশ বাঁও জলে গিয়েছে।
হাউসফুল ফোর: ঝাঁ চকচকে কাস্টিং। অক্ষয় কুমার, ববি দেওল, রীতেশ দেশমুখ, কৃতি শ্যানন, জনি লিভার, চাঙ্কি পাণ্ডে, কৃতি খারবান্দা কে নেই! তবে ধাক্কা খেয়ে গেল দুর্বল চিত্রনাট্যের জন্য। জোর করে পেটে খোঁচা দিয়ে হাসানোর চেষ্টা। তবে তা বিফল। এলাহি টাকা ঢেলেও ‘হাউসফুল’-এর চতুর্থ সিক্যুয়েল মনে ধরেনি দর্শকদের। ফারহাদ সামজির কপালে জুটেছে সমালোচকদের বাঁকা কথাও। এই ছবি দেখতে বসলে কী, কেন, কোথায়, কীভাবে এসব প্রশ্ন মাথা থেকে বের করে দিন। ৫ মিনিট মনস্থির করে দেখাও দায়! ধ্বসে পড়েছিল ‘হাউসফুল ফোর’-এর বক্স অফিস কালেকশন গ্রাফ।
পানিপথ: ইতিহাসের পাতা থেকে চিত্রনাট্য তৈরি আর তারপর চিত্রায়ণ, মোটেই সহজ কাজ নয়। তবে সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে ছিলেন পরিচালক আশুতোষ গোয়াড়িকর। রক্তারক্তি, যুদ্ধ, ক্ষমতা দখল, রাজনৈতিক হিংসা যাবতীয় মালমশলা থাকলেও রান্নাটা সেরকম করতে পারেননি। ছিল সবই। কিন্তু কাজে লাগল না- গোছের ব্যাপার আর কী! মারাঠাদের প্রতি হিন্দুস্তানের অভ্যন্তরীণ আক্রোশ-দ্বেষ যথাযথ তুলে ধরতে পারেননি আশুতোষ। যুদ্ধের পটভূমি এবং ঐতিহাসিক ছহবির বাজেট সবসময়ে মোটা হয়। সে তুলনায় আশুতোষের ‘পানিপথ’ ব্যবসার একমাত্র তুরুপের তাস ছিলেন সঞ্জয় দত্ত। তবে তাঁর দক্ষ অভিনয়ও শেষরক্ষা করতে পারেনি।
ওয়ার: টাইগার শ্রফ এবং হৃতিক রোশনের ডান্সস্টেপের যুগলবন্দী দেখতে হলে খুব ভাল। নতুবা খারাপ ন্যারেটিভ এবং দুর্বল চিত্রনাট্যের জন্য ধাক্কা খেল ‘ওয়ার’। ফার্স্টলুক প্রকাশের পর থেকেই দর্শকের মধ্যে ওই ছবিকে ঘিরে দানা বেঁধেছিল একরাশ প্রত্যাশা। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘সুপার হাইপড মুভি’। কারণ মূল দুই চরিত্রে তো বলিউডের দুই অ্যাকশন-স্টার, টাইগার আর হৃতিক। তবে মুক্তি পেতেই স্টোরিলাইনের কেরামতি দেখা গেল। যা অতিদুর্বল! একেবারেই জমেনি। কেমন যেন খাপছাড়া। জোর করে হাততালি কুড়নোর জন্যই যেন হৃতিক-টাইগারের ‘অ্যাকশন সিকোয়েন্স’ রাখা হয়েছে। যদিও বেশ কিছু জায়গায় প্রশংসার দাবিদার পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ। গল্পের জোর না থাকায় সমালোচক তথা দর্শকদের মনে সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.