Advertisement
Advertisement

বাজেট পেশ এগিয়ে আনতে চাইছে কেন্দ্র

ব্রিটিশ আমলের রীতি বিসর্জন দিয়ে...

End of British-era legacy? Next Budget may be presented in January
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 22, 2016 10:52 am
  • Updated:August 22, 2016 11:15 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েক দশক ধরে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ হয়ে থাকে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষদিনটিতে৷ এবার সেই রীতিও বদলানোর ব্যাপারে বিচার-বিবেচনা করছে কেন্দ্র৷ সরকার চাইছে জানুয়ারি মাসের শেষ দিনটিতে পেশ হোক বাজেট৷ তেমনটি হলে নতুন অর্থবছর শুরু হওয়ার আগেই বাজেট সংক্রান্ত যাবতীয় পরিষদীয় কাজকর্ম শেষ করা যাবে৷

সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সম্পূর্ণ বাজেট প্রক্রিয়াটিকেই ঢেলে সাজতে চাইছে৷ পৃথক রেল বাজেটের জমানায় ইতি টেনে সেটিকে সাধারণ বাজেটের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে৷ বর্তমানে সেই বিষয়টিও প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে৷ রাজ্যসভা ও লোকসভায় পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিলও পাস হয়ে গিয়েছে৷ অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর আগে তা এখন পর পর রাজ্য বিধানসভায় পাস হচ্ছে৷ কেন্দ্রের আশা, ২০১৭ থেকেই দেশে জিএসটি ব্যবস্থা চালু করা যাবে৷ তখন বাজেট বইটি আর এখনকার মতো এত স্থূলাকার থাকবে না৷ কারণ সেখানে অপ্রত্যক্ষ করের তেমনভাবে উল্লেখ না থাকাই স্বাভাবিক৷ জিএসটি ব্যবস্থায় বিভিন্ন্ ধরনের শুল্ক, পরিষেবা কর এবং সেস একত্রিত হয়ে যাবে৷ তাছাড়াও, নতুন যুগের বাজেটে পরিকল্পিত ও অ-পরিকল্পিত ব্যয়ের কোনও সংস্থান থাকবে না৷ সেখানে আসবে মূলধন এবং রাজস্ব ব্যয়৷ সেক্ষেত্রে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে চলেছে৷

Advertisement

বর্তমানে ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত দুই দফায় সংসদের বাজেট অধিবেশন চলে৷ সাধারণত প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ কাজের দিনে সংসদে পেশ হয়ে থাকে সাধারণ বাজেট৷ দুই কক্ষে তার উপর আলোচনা, বিতর্ক ও অনুমোদনের বিষয়গুলি মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ করা হয়৷ এই কাজটি অর্থবছরের শেষ দিন অর্থাত্‍ ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করে ফেলতে চাইছে সরকার৷ অবশ্য সাধারণ বাজেট পেশ সম্পর্কে সংবিধানে নির্দিষ্ট কোনও তারিখের কথা উল্লেখ নেই৷

যেহেতু ১ এপ্রিল থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হয়ে যায়, তাই মার্চেই সরকার আগামী দু’-তিন মাসের সাধারণ ব্যয়ের জন্য সংসদে ‘ভোট অন অ্যাকাউন্ট’ অনুমোদন করিয়ে নেয়৷ এরপর এপ্রিল কিংবা মে মাসে পাস হয় ‘ডিমান্ডস অ্যান্ড অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিল’৷ সেখানেই থাকে সারা বছরের পূর্ণাঙ্গ ব্যয় পরিকল্পনা ও কর পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়গুলি৷

সূত্রের খবর, জানুয়ারির শেষ কাজের দিন, বিশেষত ৩১ জানুয়ারি সংসদে বাজেট পেশ এবং ৩১ মার্চের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার ব্যাপারে একটি প্রস্তাব করা হয়েছে৷ সেক্ষেত্রে বাজেট অধিবেশনও এগিয়ে আনতে হবে৷ বাজেটের আগাম প্রস্তুতি হিসাবে রাজস্ব বিভাগ এখন সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে আলোচনায় বসে নভেম্বর-ডিসেম্বরে৷ সেই বিষয়টিও এগিয়ে সেপ্টেম্বরে আনতে হবে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement