সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফের একাধিক বহুতলে হানা ইডির। মাদুরদহের ওম ভিলা ও ল্যান্সডাউনের একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি আধিকারিকদের। মাঝে মধ্যেই ল্যান্সডাউনের ওই ফ্ল্যাটে যেতেন অর্পিতা, এমনটাই খবর।
মঙ্গলবার সকালে সিজিও থেকে ইডি আধিকারিকদের ৬ টি দল বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন। একটি দল যায় ল্যান্সডাউন পণ্ডিতিয়া রোডের ফোর্ড ওয়েসিস আবাসনে। একটি দল যায় মাদুরদহের ওম ভিলায়। তিনটি দল যায় তিনটি নেল আর্ট পার্লারে। একটি বরানগর, একটি লেকভিউ রোড ও একটি পাটুলিতে। কেন্দুয়ার এক ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালানো হয়। একটি দল যায় রাজডাঙার ‘ইচ্ছে’য়। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ল্যান্সডাউনের ওই আবাসনের ৬ নম্বর ব্লকের ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটটি অর্পিতার, তবে তা বেনামে। মঙ্গলবার সকালে সেই ফ্ল্যাটে যান ইডি আধিকারিকরা। কথা বলেন, আবাসনের কেয়ারটেকারের সঙ্গে। একাধিক আবাসিকের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, প্রায়ই ওই ফ্ল্যাটে যেতেন অর্পিতা। এদিকে মাদুরদহের ফ্ল্যাটেও চলছে তল্লাশি। কথা বলা হচ্ছে কেয়ারটেকারের সঙ্গে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ। সিল করে দেওয়া হয়েছে ‘ইচ্ছে’ ।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্পিতাকে জেরা করেই এই ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। ল্যান্সডাউনের ওই ফ্ল্যাটটি কেনার আগে বেশ কয়েকজন প্রোমোটারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এমনটাই খবর। জানিয়েছিলেন মেয়ের জন্য ফ্ল্যাট কিনবেন। কিন্তু সেই ফ্ল্যাটটি কেনা হয় অন্য এক ব্যবসায়ীর নামে। কিন্তু তাতে যাতায়াত ছিল অর্পিতার। সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সিল করে দেওয়া হয়েছে রাজডাঙার ‘ইচ্ছে’। এদিকে মাদুরদহ ও ল্যান্সডাউনের আবাসন থেকে একাধিক নথি পেয়েছেন তদন্তকারীরা, এমনটাই খবর। এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে এক সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেছিলেন পার্থ-অর্পিতা। রেজিস্ট্রেশনও হয়েছিল দু’ জনের নামে। সব মিলিয়ে অর্পিতাকে জেরা করে বহু তথ্য পেয়েছে তদন্তকারীরা। যার ভিত্তিতে চলছে তল্লাশি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.