সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাইন গাছের উঁচু ডালে ঝোলানো প্লাই বোর্ড৷ লেখা ‘দুশমন শিকার, হাম শিকারি’৷ সজাগ দৃষ্টিতে নিয়ন্ত্রণরেখায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনীর স্নাইপাররা৷ যে কোনও সময় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে শত্রু৷ গোলা উড়ে আসতে পারে ওপার থেকে৷ তার পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত ভারতীয় জওয়ান৷ সার্জিক্যাল অপারেশনের পর মনোবল তুঙ্গে৷ তবু খারাপ আবহাওয়া আর জনমানবহীন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে থাকার একঘেয়েমি কাটাতে ‘দুশমন শিকার, হাম শিকারি’ মন্ত্র জপেই নিজেদের উজ্জীবিত করছেন তাঁরা৷
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ভারতীয় জওয়ানরা জঙ্গিদের লঞ্চ প্যাডে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর পর নিয়ন্ত্রণরেখায় ২৬ বার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাক সেনা, বর্ডার অ্যাকশন টিম (ব্যাট) ও জঙ্গিরা৷ স্নাইপার রাম সিং-এর (নাম অপরিবর্তিত) কথায়, “লক্ষ্মণরেখার (এলওসি) ওপারে আমার শত্রু বসে রয়েছে৷ আমি ওর শিকারি৷ যারা লক্ষ্মণরেখা পেরিয়ে এদিকে আসার চেষ্টা করবে তাদের আমরা খতম করব৷”
বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্নাইপারদের মতো দুশমনদের খতম করার অপেক্ষায় জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার নওশেরা সেক্টরে টহল দিচ্ছেন জওয়ানরাও৷ বৈদ্যুতিন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নজরদারির পাশাপাশি নিশ্ছিদ্র প্রহরীর মতো ভারত-পাক সীমানায় জেগে রয়েছেন তাঁরা৷ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ঠিক বিপরীতে নওশেরা সেক্টর৷ এক সময় এই এলাকা দিয়েই সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশ করত জঙ্গিরা৷ পাইনের ঘন জঙ্গল, গভীর উপত্যকা, খাড়াই পর্বতে ঘেরা নওশেরা সেক্টর৷ সার্জিক্যাল অপারেশনে ভারতের কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার পর এই পথেই হামলা চালানোর টার্গেট নিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী৷ এক কোম্পানি কমান্ডারের কথায়, “আমরা নিয়ন্ত্রণরেখা ও আশপাশের সেনা ছাউনিতে ঈগলের মতো নজরদারি চালাচ্ছি৷ পাক সেনাবাহিনীকে বিশ্বাস করি না৷ সীমানার কাছে বিড়াল ঘোরাঘুরি করলেও বৈদ্যুতিন যন্ত্রের সাহায্যে এখন আমরা ধরে ফেলতে পারি৷”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.