স্টাফ রিপোর্টার, ঘাটাল: প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল নাবালিকা মেয়ে৷ ১২ দিন পর অজ্ঞাত পরিচয় তরুণীর মৃতদেহ দেখে মেয়ে বলে শনাক্ত করেন বাবা৷ হয়ে গিয়েছিল অন্ত্যেষ্টিও৷ হঠাৎ সশরীরে বাড়িতে হাজির মেয়ে৷ খুশিতে আত্মহারা বাবা৷ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঘাটালের দাসপুরে৷
ঘটনার সূত্রপাত হয় ৮ আগস্ট৷ স্থানীয় বাচ্চু আলির সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় মাম্পি দলুই৷ এরপর ২০ আগস্ট দিঘায় এক তরুণীর মৃতদেহ পাওয়া যায়৷ মাম্পির বাবা সুনীল দলুই সেই দেহটি তাঁর মেয়ের বলে শনাক্ত করেন৷ সুনীল দলুই জানিয়েছেন, “আমার মেয়ের কাঁধের বাঁদিকে তিল আছে৷ বুকের হাড় উঁচু৷ এছাড়াও বেশ কিছু চিহ্ন মৃতদেহের সঙ্গে মিলে যায়৷” সেই কারণেই তিনি ভেবেছিলেন মৃতদেহটি মাম্পির৷ দিঘা থানার পুলিশ দেহটি সুনীলের হাতে তুলে দেয়৷ সেদিনই দাসপুরে দেহটির শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন তিনি৷
ইতিমধ্যে মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিএসপি (ক্রাইম) পরাগ ঘোষ ও দাসপুর থানার ওসি প্রণব সেনাপতি কৈখালি থেকে মাম্পিকে উদ্ধার করে৷ বুধবার তাকে দাসপুরে নিয়ে যাওয়া হয়৷ মেয়ে ফেরায় আনন্দে আত্মহারা সুনীল৷ অতীত ভুলে নতুন করে মেয়ের সঙ্গে জীবন শুরু করতে চান তিনি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.