স্টাফ রিপোর্টার: চ্যালেঞ্জটা কম বড় ছিল না৷ একদিকে ছিল জঙ্গিহানার আশঙ্কা, অন্য দিকে ভিড় সামলে বিপত্তি এড়ানোর চ্যালেঞ্জ৷ কিন্তু অসামান্য দক্ষতায় সব কিছু সামাল দিয়ে হিরো কলকাতা পুলিশ৷ কথা ছিল চতুর্থী থেকে শহরের যান নিয়ন্ত্রণে পথে নামবে পুলিশ৷ কিন্তু এবার যে তৃতীয়া থেকেই কলকাতার রাস্তায় নেমেছিল মানুষের ঢল৷ আর সবকিছুকে ছাপিয়ে দিল নবমীর ভিড়৷ বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছাতা মাথায় ঠাকুর দেখার ভিড়৷ তুমুল ভিড় সত্ত্বেও ব্যবস্থাপনায় একশোতে একশো পুলিশ৷
রাস্তা ফাঁকা করতে ভবানীপুর থেকে হাতিবাগান, সর্বত্র বেআইনি পার্কিং, দখলদারদের আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ শহর আরও ঝকঝকে হয়ে উঠেছিল কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে৷ পঞ্চমী থেকে পথে নেমেছিলেন কমপক্ষে দশ হাজার পুলিশকর্মী৷ এছাড়াও সহযোগী হিসাবে ছিলেন এনসিসি ও ট্রাফিক ওয়ার্ডেনরাও৷ যেকোনও রকম বিপত্তি এড়াতে ছিল ২১টি কুইক রেসপন্স টিম, ২৫টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, ২৫টি মোবাইল ভ্যান, ৪৬টি ওয়াচ টাওয়ার, পুলিশের ২৭টি অ্যাম্বুল্যান্স৷ কয়েকটি ওয়াচ টাওয়ারে আবার নজরদারি চালানো হয়েছে নাইটভিশন বাইনোকুলারের সাহায্যে৷ জলপথেও ছিল নজরদারি৷ তৈরি রাখা হয়েছিল পুলিশের স্পিডবোট৷ আকাশপথেও বাদ যায়নি নজরদারি৷ তৃতীয়া থেকেই পুলিশের আকাশযান ‘ড্রোন’ ছিল সজাগ৷ শহরে ২৩টি মেট্রো স্টেশনের ছিল কড়া নজরদারি.৷ এজন্য রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও একাধিকবার বৈঠক করেছিলেন পুলিশকর্তারা৷
এছাড়াও লালবাজার কন্ট্রোলরুম থেকে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানোর জন্য বাড়তি ৭৪টি সিসিটিভি বসানো হয়েছিল৷ প্রতিটি বড় পুজোর সামনেও ছিল সিসিটিভি৷ শপিং মলগুলিতেও ছিল কড়া নজরদারি৷ হেলমেটহীন মোটরবাইক ও রোমিও দের শহরের রাস্তায় বেরোতে দেওয়া হয়নি৷ পুজোর ক’টা দিন সন্ত্রাসবাদী হানার বিষয়ে আগেই রাজ্যকে সতর্ক করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাবাহিনী৷ সেকথা মাথায় রেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.