স্টাফ রিপোর্টার: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ঝড়ে এবার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল মালদহে প্রয়াত বরকত গনি খানের কংগ্রেসি দুর্গ৷ খড়কুটোর মতো উড়ে গেল কংগ্রেস-সিপিএমের তৈরি করা জোটের ‘বালির বাঁধ’৷ সোমবার একসঙ্গে বামেদের আটজন, কংগ্রেসের ছয়জন এবং সমাজবাদী পার্টির দু’জন মিলিয়ে মোট ১৬ জন জেলা পরিষদ সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন৷ দলত্যাগী জেলা পরিষদ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন স্বয়ং সভাধিপতি সরলা মুর্মু-সহ বেশ কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ৷ আগেই তৃণমূলের ছয় সদস্য ছিলেন৷ এই নিয়ে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা একধাক্কায় বেড়ে হল ২২৷ ৩৮ সদস্যের জেলা পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন মাত্র ১৯৷
জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ও পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এদিন কলকাতার তৃণমূল ভবনে তৃণমূলে আসা কং ও বাম সদস্যদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন৷ পরে শুভেন্দু জানান, “নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়েই এই ১৬ জনকে তৃণমূলে নেওয়া হল৷ ১৬ জনের তৃণমূলে যোগদানের নথি মালদহ জেলা শাসককে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে জেলা পরিষদের দায়িত্ব নেবে তৃণমূল কংগ্রেস৷” এদিন তৃণমূল ভবনে শুভেন্দুর সঙ্গে কং-বাম সদস্যের দলে স্বাগত জানান সংগঠনের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি সাংসদ মুকুল রায়৷
পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ দু’টি কংগ্রেসের দখলে গিয়েছিল৷ বিধানসভা ভোটে মুর্শিদাবাদ জেলায় দলের ভোট ৩১ শতাংশ করার পাশাপাশি চারজন বিধায়কও জোড়াফুল চিহ্নে জিতে এসেছে৷ দিনকয়েক আগে একসঙ্গে মুর্শিদাবাদে ১০ জন কং-বাম সদস্য শুভেন্দুর নেতৃত্বে যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে ৩১ হয়েছে৷ মুর্শিদাবাদে জেলা পরিষদ পাওয়ার জন্য আর মাত্র চারজন সদস্যের প্রয়োজন৷ তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, আরও সাত-আটজন জেলা পরিষদ সদস্য শীঘ্রই তৃণমূলে যোগ দেবেন৷ সেক্ষেত্রে অধীর চৌধুরির মুর্শিদাবাদও তৃণমূলে চলে আসছে৷ এদিন শুভেন্দু জানিয়েছেন, “প্রকৃত কংগ্রেস ও বাম সদস্যরা বিধানসভা ভোটে অনৈতিক জোটকে মেনে না নেওয়ায় সবাই এখন উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলে আসছেন৷”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.