স্টাফ রিপোর্টার: জোটে নয়, পথে থাকুন৷ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ইস্যুতে একদিন আগেই এই রাস্তা বাতলে দিয়ে গিয়েছিলেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি৷ কিন্তু তারপরেও শরিকদের চাপ অগ্রাহ্য করতে পারল না সিপিএম৷ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা মহামিছিলে কংগ্রেসকে শামিল করার সাহস দেখাতে পারল না আলিমুদ্দিন৷ সোমবার ১৬ টি বামদলের মহামিছিল ধর্মতলা থেকে শুরু হয়ে কলেজ স্কোয়ার চত্বরে শেষ হল কংগ্রেসকে ছাড়াই৷
ভোটের পরেও বামেদের সভায় দেখা গিয়েছিল তেরঙ্গা পতাকা৷ ধর্মতলার অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের তাবড় নেতারা৷ হাজির হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান৷ আবার কংগ্রেসের মিছিলে পার্টির সিদ্ধান্ত অমান্য করে যোগ দেন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য৷ যদিও তন্ময়ের যোগ দেওয়া নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়৷ কার্যত শরিকদের চাপেই সেদিন সন্ধ্যায় তন্ময়কে ভৎসনা করেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র৷ এরপর থেকেই প্রতিদিন একটু একটু করে বড় শরিকের উপর চাপ বাড়াতে থাকে আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক ও সিপিআই৷ বামফ্রন্টের বৈঠকে কংগ্রেস সম্পর্কে তাদের কঠোর অবস্থানের কথা সিপিএমকে জানিয়ে দেন শরিক নেতারা৷ মহামিছিলে কংগ্রেসকে আহ্বান জানালে তারা মিছিলে অংশ নেবে কি না তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে বলে হুমকি দিয়ে রাখে৷ হুমকির কাছে কার্যত মাথা নত করে মিছিলে কংগ্রেসকে না ডাকার সিদ্ধান্ত নেয় আলিমুদ্দিন৷
এদিনের মিছিলে তেরঙ্গা পতাকা থাকলেও তা কংগ্রেসের নয়৷ বামফ্রন্টের বাইরে থাকা শরদ পাওয়ারের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির৷ এছাড়াও মিছিলে পিডিএস, আরজেডি ও সিআরএলআই অংশ নিলেও ছিল না এসইউসি ও সিপিআই লিবারেশন-এর মতো বামপন্থী দলগুলি৷ তবে ভবিষ্যতে আন্দোলনের ময়দানে সরকার বিরোধী সব দলকেই শামিল করার উদ্যোগ নেওয়া হচেছ বলে মিছিল শেষে জানান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু৷ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে রাজ্যের দায়িত্ব থাকলেও অধিকাংশ দায় কেন্দ্রীয় সরকারের৷ তাই এই সরকারের বিরুদ্ধে সব গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে নিয়ে আন্দোলন চলবে বলে জানান সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.