Advertisement
Advertisement

ওয়াক আউট বামেদের, হাত ধরল না কংগ্রেস

বলতে না পারার অভিযোগে বিধানসভার অধিবেশন থেকে বামফ্রন্ট ওয়াকআউট করলেও তাদের সঙ্গে পা মেলাল না কংগ্রেস৷ সিদ্ধান্তহীনতায় আড়াআড়ি বিভক্ত হয়ে গেল বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস৷

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 1, 2016 12:50 pm
  • Updated:July 1, 2016 1:28 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: ফের বড়সড় ফাটল ধরল জোটে৷ বলতে না পারার অভিযোগে বিধানসভার অধিবেশন থেকে বামফ্রন্ট ওয়াক আউট করলেও তাদের সঙ্গে পা মেলাল না কংগ্রেস৷ সিদ্ধান্তহীনতায় আড়াআড়ি বিভক্ত হয়ে গেল বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস৷
বুধবার যৌথভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়ে দেন, তাঁরা বৃহস্পতিবার বিধানসভায় কার্য উপদেষ্টা কমিটির (বিএ) বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ বৃহস্পতিবার প্রথমার্ধে অধিবেশন চলাকালীন রাজ্য সরকারের কর্মচারিদের ডিএ-এর প্রসঙ্গ তোলেন আবদুল মান্নান৷ তিনি বলেন,“রাজ্য সরকারের কর্মীরা বঞ্চিত৷ সরকার কর্মীদের জন্য কিছু একটা ঘোষণা করুক৷” পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই বিষয়ে আমি মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করব৷” তারপর অধিবেশন কক্ষেই পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিধানসভার রীতিনীতি অনুযায়ী বিএ কমিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র জায়গা৷ বিষয়গত তফাত্‍ থাকতে পারে কিন্তু আপনারা সেটাকে বাইরে বলছেন, জনসমক্ষে চর্চা হচ্ছে৷ রমজান মাস চলছে অধিবেশন সাড়ে চারটের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷” পাল্টা উত্তরে আবদুল মান্নান বলেন, “আমরা মূল্যবৃদ্ধির নিয়ে আলোচনা চেয়েছিলাম৷ তা শোনা হয়নি৷” এই প্রসঙ্গেই পার্থবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বাজার পরিদর্শনের পর জিনিসপত্রের দাম যে কমে, তা প্রমাণিত৷” তখনই পার্থবাবু বিরোধীদের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করছি, আলোচনায় আসুন৷” মান্নান বলেন, “গণতন্ত্রে বিরোধীদের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না৷ সরকার যা বলবে, তা শোনার জন্য আমরা বিধানসভায় আসিনি৷”
সেই সময় বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী কিছু বলতে চেয়ে উঠে দাঁড়ান৷ ডিএ ও বিএ কমিটি নিয়ে বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন সুজন৷ কিন্তু একই বিষয় নিয়ে ফের কেন বলবেন বলে আর সুজনকে বলার সময় দেওয়া হয়নি৷ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপনারা বিএ কমিটির বিষয় পাবলিক করবেন না৷ তাতে পরিষদীয় রীতিনীতি লঙিঘত হয়৷ ভবিষ্যতে মনে রাখবেন৷ আপনারা আলোচনায় আসুন৷” স্পিকার বলার সুযোগ দেননি এই অভিযোগে ওয়াকআউট করে বামফ্রন্ট৷ যদিও সেই সময় বামেদের সঙ্গে ওয়াকআউটের পথে যায়নি কংগ্রেস৷ অধিবেশন কক্ষেই ছিলেন কংগ্রেস বিধায়করা৷
এতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, বাম-কংগ্রেসে জোটে ফাটলের ছবি৷ ততক্ষণে কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে তারা বিএ কমিটির বৈঠকে যোগ দেবে৷ বামেরা তখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, তারা বিএ কমিটিতে যাবে কি না৷ সুজন চক্রবর্তীর সাংবাদিক বৈঠকে ছুটে এসে হাল ধরেন আবদুল মান্নান৷ তিনি বলেন, “আমরা টেকনিক্যাল কারণে ওয়াকআউট করিনি৷ স্পিকার ও পরিষদীয় মন্ত্রীর অনুরোধে আমরা বিএ কমিটির বৈঠকে যাচ্ছি৷ স্পিকারের চেয়ারকে মর্যাদা দিতে চাই৷ তবে সরকারপক্ষ ভবিষ্যতে এমন সিদ্ধান্ত নিলে আমাদের অন্য পথ নিতে হবে৷” পরে কংগ্রেসের মতো বামেরাও বিএ কমিটির বৈঠকে যোগ দেয়৷ সুজনবাবু বলেন, “স্পিকারের অনুরোধে আমরা গিয়েছিলাম৷” বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জানিয়েছে, মূল্যবৃদ্ধি-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা চেয়েছিলাম৷ তা ফের মানা হয়নি৷ এদিন পোস্ট অফিসে গ্রাহকদের সমস্যা নিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে চিঠি দিয়েছেন সুজন৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement