Advertisement
Advertisement

তোলাবাজি, সিন্ডিকেট চক্র রুখতে কঠোর মুখ্যমন্ত্রী

তোলাবাজি সিন্ডিকেট চক্রের পাল্লায় পড়ে কোনও মানুষের হয়রানি বরদাস্ত নয়৷ অভিযোগ পাওয়ামাত্র ব্যবস্থা নিতে হবে৷

CM has become strict to stop syndicate and forceful money extortion
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 19, 2016 8:53 am
  • Updated:June 22, 2022 5:07 pm  

বিশেষ সংবাদদাতা: তোলাবাজি সিন্ডিকেট চক্রের পাল্লায় পড়ে কোনও মানুষের হয়রানি বরদাস্ত নয়৷ অভিযোগ পাওয়ামাত্র ব্যবস্থা নিতে হবে৷ পুলিশকে ভাঙতে হবে এই ধরনের অসাধু চক্র৷ এই চক্রে যুক্ত থাকলে যত বড় নেতাই হোন, তার রেহাই নেই৷

সোমবার প্রশাসনে এই কড়া নির্দেশিকা জারি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পাশাপাশি নিজের দফতর সিএমও-র আধিকারিকদেরও মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন, নবান্নে যে অভিযোগগুলি প্রতিদিন আসছে সেগুলি দ্রূত খতিয়ে দেখে ব্যবস্হা নিতে হবে৷ তাঁর জমানায় প্রশাসনের কোনও রং নেই৷ সবার আগে জনস্বার্থ৷

Advertisement

গত সপ্তাহে দার্জিলিং রওনা হওয়ার আগে তোলাবাজিতে অভিযুক্ত বিধাননগরের কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করতে নির্দেশ দিয়ে যান মমতা৷ পরদিনই তাঁকে গ্রেফতার করেন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিং৷ রং না দেখে দলের কাউন্সিলরকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে মমতা যেমন রাজধর্ম পালন করেন, তেমনই তোলাবাজি করলে যে অনিন্দ্যর হাল হবে, সেই বার্তাও দলীয় স্তরে স্পষ্ট করে দেন৷ এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন৷ শুরু হয় ব্যাপক ধরপাকড়৷

টানা পাহাড় সফর ও ঝটিকা দিল্লি সফর সেরে শনিবার গভীর রাতে কলকাতায় ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সোমবার নবান্নে এসেই তিনি ডেকে পাঠান মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজিকে৷ আলাদা আলাদা করে বৈঠক করেন তাঁদের সঙ্গে৷ নানা প্রসঙ্গের সঙ্গে তোলাবাজি ও সিন্ডিকেট চক্রের বিরু‌দ্ধে সরকারি অভিযান নিয়েও আলোচনা হয়৷

বস্তুত, দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেই দল ও প্রশাসনে কঠোর মনোভাব নিয়ে চলছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ রাজারহাট বাগুইআটি-সহ বিভিন্ন এলাকায় সিন্ডিকেট চক্র, তোলাবাজির রমরমা ব্যবসায় মানুষ জেরবার৷ মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও সরাসরি বহু এলাকা থেকে অভিযোগ আসছিল৷ মূলত বাম আমলে গড়ে ওঠা এই ধরনের চক্রগুলি সমাজের ক্যানসার৷ তাঁর জমানায় এই অশুভ চক্র যে চলতে দেবেন না, তা নিশ্চিত করতেই মমতা যেন যুদ্ধংদেহি মনোভাবে নেমেছেন৷ অনিন্দ্যকে গ্রেফতারের পরও যে এই কাজ থেমে থাকছে না, তা স্পষ্ট হয়েছে এদিন৷

তৃণমূল সূত্রে খবর, তৃণমূল যেহেতু শাসক দল, সেই সুযোগে কিছু লোক দলের ভিতরে ঢুকে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করার চেষ্টায় মত্ত৷ অনিন্দ্যর ঘটনার পর তাই রীতিমতো ভীতির সঞ্চার হয়েছে৷ ঘুঘুর বাসায় আঘাত আসায় এটা স্বাভাবিক৷ মমতার অনমনীয় মনোভাবে অনেকেই শঙ্কিত৷ এই লড়াই তাই মুখ্যমন্ত্রী জারি রাখতে চাইছেন৷ সিএমও সূত্রে খবর, এখন থেকে তোলাবাজি সিন্ডিকেটের জুলুম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এতটাই কঠোর যে, এই সংক্রান্ত অভিযোগ কিছু এলে আলাদা করে ফাইল করা হবে৷ এবং সবটাই দ্রূত জানানো হবে মুখ্যমন্ত্রীকে৷ সেই মতো ব্যবস্থা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement