Advertisement
Advertisement

ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু, উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী আজ বৈঠকে

মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং কলকাতা ও সংলগ্ন জেলার পুরকর্তাদের বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

CM calls meeting to prevent dengue

ফাইল ফটো

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 2, 2016 9:30 am
  • Updated:June 22, 2022 5:06 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যে ডেঙ্গু ও অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল চারজনের৷ কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেকেরই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর মিলেছে৷ সোমবার হাসপাতাল সূত্রে তিনজনের মৃত্যু ডেঙ্গুতে বলে জানানো হলেও বাকি একজনের ক্ষেত্রে জ্বর ও রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ যদিও প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর৷ মৃতদের মধ্যে রয়েছে দু’টি শিশুও৷ রাজ্যের পুরসভাগুলি আগে থেকে ব্যবস্থা নিলেও ডেঙ্গু-সহ মশাবাহিত রোগের প্রকোপ সামনে আসায় আজ, মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং কলকাতা ও সংলগ্ন জেলার পুরকর্তাদের বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

মৃতদের মধ্যে রয়েছে দমদমের বাসিন্দা পূর্বিতা হাজরা এবং সল্টলেকের বাসিন্দা বিবস্বান গুহঠাকুরতা৷ এরা দু’জনেই সল্টলেকের ভারতীয় বিদ্যাভবনের পড়ুয়া৷ এদের মৃত্যুর ঘটনায় এদিন সকাল থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে স্কুল চত্বর৷ প্রিন্সিপ্যাল রেখা বৈশ্যকে ঘিরে তীব্র বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা৷ অভিযোগ, স্কুল থেকেই ছড়িয়েছে ডেঙ্গু৷ নিয়মিত সাফাই না হওয়ার কারণে ডেঙ্গুর মশার আঁতুড় ঘর তৈরি হয়েছে স্কুলেই৷ ওই স্কুলেরই আরও পাঁচ ছাত্রছাত্রী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বলে জানাচ্ছেন অভিভাবকরা৷ তবে সাফাই না হওয়ার অভিযোগ স্বীকার না করলেও আগামী সাতদিন স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছেন প্রিন্সিপাল৷ এই সাতদিন স্কুলজুড়ে সাফাই অভিযান চলবে বলে জানান তিনি৷

Advertisement

অন্যদিকে ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলিতে নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ অন্যদিকে বিধাননগর পুরসভার মেয়র সব্যসাচী দত্ত জানান, তৎপরতার সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে৷ সম্ভাব্য সব জায়গায় মশার লার্ভার তল্লাশিতে নামবেন পুরকর্মীরা

অ্যাপোলো সূত্রে জানা যাচ্ছে, দমদমের গোরাবাজারের বাসিন্দা শীলা শিকদার ও দমদম কৃষ্ণপুরের বাসিন্দা পম্পা ভট্টাচার্য ও দমদম আর এন গুহ রোডের বাসিন্দা পূর্বিতা হাজরার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে৷ আর সল্টলেকের বিডি ব্লকের বাসিন্দা বিবস্বান গুহঠাকুরতার মৃত্যুর কারণ হাই ফিভার ও মাল্টিপল অর্গান ফেলিওর৷

অন্যদিকে ভারতীয় বিদ্যাভবনের দুই পড়ুয়ার মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা সল্টলেক জুড়ে৷ অভিভাবকরা এদিন স্কুলে বিক্ষোভের পাশাপাশি বিধাননগরের মেয়রের কাছেও স্কুলের বিরু‌দ্ধে অভিযোগ জানান৷ এদিন পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা ভারতীয় বিদ্যাভবন পরিদর্শনে যান৷ পুরভবন সূত্রে খবর, স্কুলের এসি থেকে জমা জলে মশার লার্ভা মিলেছে৷ জেনারেটর রুম ও ফাউন্টেন থেকেও মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছে৷ যদিও এই অভিযোগ আগেই জানিয়েছিলেন অভিভাবকরা৷ তাঁদের আরও অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ নিয়মিত সাফ করে না টয়লেট৷ খেয়াল রাখা হয় না পড়ুয়াদের৷ অভিভাবক ফোরাম গঠন করে স্কুলের বিরু‌দ্ধে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন অভিভাবকরা৷ যদিও এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে প্রিন্সিপালের দাবি, স্কুল সংলগ্ন এলাকার পুকুর থেকে মশার বংশবৃ‌দ্ধি হচ্ছে৷

অন্যদিকে বিধাননগর পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র ইন কাউন্সিল প্রণয় কুমার রায় বলেন, নিগম এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ ছাড়িয়েছে৷ যদিও স্থানীয় মানুষের দাবি, বাগুইআটি অঞ্চলে এখন ঘরে ঘরে ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু৷ প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা৷ বিধাননগর পুরনিগমের ১৭,৯,১৪,১১ নম্বর ওয়ার্ড ও সল্টলেকের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড ডেঙ্গুপ্রবণ হলেও পুরসভা নিয়মিত নজরদারি চালায় না৷ মশার তেলও দেওয়া হয় না নিয়মিতভাবে বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement