সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবছর স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন, তখনই ড্রোন হামলা চালিয়ে তাঁকে হত্যার ছক কষছে ইসলামিক স্টেট ও আল কায়দা জঙ্গিরা৷ সম্ভাব্য জঙ্গি নাশকতার হাত থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রীকে এবছর বুলেটপ্রুফ এনক্লোজারের ভিতর থেকে ভাষণ দেওয়ার অনুরোধ জানালেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলির এই অনুরোধ লিখিত আকারে পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের টেবিলে৷
বিশেষ সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীও বিলক্ষণ জানেন এবছর তাঁর প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে৷ তাই আসন্ন ১৫ আগস্ট তিনি নজিরবিহীন নিরাপত্তাবেষ্টনী নিয়েই লালকেল্লায় পৌঁছতে পারেন৷ ভাষণ দিতে পারেন বুলেটপ্রুফ ঘরের ভিতর থেকে৷ গতবারও এনক্লোজারের ভিতর থেকে তাঁর বক্তব্য পেশ করার কথা ছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সেই সুরক্ষা নেননি৷ কিন্তু এবছর একদিকে বুরহান ওয়ানির মৃত্যুতে অশান্ত কাশ্মীর ইস্যু ও অন্যদিকে লাগাতার অনুপ্রবেশের খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেও যথেষ্ট সতর্ক বলে সূত্রের খবর৷
সম্প্রতি কয়েকজন কুখ্যাত পাক রেঞ্জার্সের টেলিফোন কথোপকথনে আড়ি পেতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, গোলাগুলি বা ফিদায়েঁ নয়, এবছর মোদির উপর ড্রোন হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা৷ কারণ, ড্রোন হামলা চালানোর জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার বেষ্টনী টপকানোর দরকার নেই, বহু দূর থেকে বসে রিমোটের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব৷ পাশাপাশি ‘লোনউল্ফ’ কায়দায় অ্যাটাকের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, আল কায়দা ও আইএস জঙ্গিরা ইতিমধ্যেই দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সেনাঘাঁটি ও পুলিস স্টেশনে হামলার ছক চূড়ান্ত করে ফেলেছে৷ মোদির উপরে হামলার প্রাথমিক ছকও কষে ফেলেছে জঙ্গিরা৷ প্রধানমন্ত্রীকে অক্ষত রাখতে এবছর নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ এবছর ভিড়ের মধ্যে সেনাবাহিনীর বিশেষ প্রশিক্ষিত কম্যান্ডার ও স্পটার-রা মিশে যাবেন৷ তাঁরা নজর রাখবেন, কেউ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য পেশের সময় অস্বাভাবিক আচরণ করছেন কি না! বা কেউ তাঁর মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন কি না! ভিড়ের মধ্যে কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে স্পটাররা সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে তাকে চিহ্নিত করে ওয়ারলেসের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন আশেপাশে মোতায়েন থাকা স্নাইপারদের৷ মুহূর্তের মধ্যে ওই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হবে৷ আর একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে কর্ডন করে ঘিরে ফেলবেন আরেক দল প্রশিক্ষিত কম্যান্ডাররা৷ জানা গিয়েছে এসপিজি, আইবি, আধাসেনা ও দিল্লি পুলিশের প্রায় ৫০০০ জন সদস্য শুধু লালকেল্লাতেই মোতায়েন থাকবেন এবছর৷ লালকেল্লার চারপাশে উড়বে বিশেষ নজরদারি ড্রোন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.