স্টাফ রিপোর্টার: ফের ভয়াবহ ধসের কবলে পাহাড়৷ ধসের জেরে এবার খোদ দার্জিলিং শহরে ভেঙে পড়ল চারতলা পাকা বাড়ি৷ দার্জিলিংয়ের জাকির হোসেন রোডের বুচার বস্তিতে ভেঙে পড়া ওই বাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হল চারজনের৷ জখম ১২৷ এদের মধ্যে সাতজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত আরও পাঁচজনের চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা৷
শুক্রবার রাতে আচমকাই ভেঙে পড়ে বাড়িটি৷ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে শৈলশহর৷ সাম্প্রতিককালে দার্জিলিং শহরে এতবড় বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেনি৷ মৃতদের মধ্যে তিনজন হলেন অমৃতা পারিয়ার (৬০), রাজেশ পারিয়ার (৪৫) ও অনিতা পারিয়ার (৪০)৷ তাঁরা একই পরিবারের৷ বাড়িটির তিনটি তলায় এই পরিবার ভাড়া থাকত৷ স্বাভাবিকভাবেই পাহাড়ে থাকা পর্যটকদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷ উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনা৷ রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের টিমও৷ ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জেলা প্রশাসনের কর্তাদের কাছ থেকে সবিস্তারে খোঁজখবর নেন৷ তাঁর নির্দেশে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ মুখ্যমন্ত্রীর তরফে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে৷ মৃতদের শেষকৃত্যের জন্য ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফে৷ গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য দেওয়া হবে এক লক্ষ টাকা৷
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব ও পুলিশ সুপার অমিত পি জাভালগি৷ এদিন সকালে আসেন জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ তথা মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং৷ ছিলেন দার্জিলিংয়ের পুরপ্রধান অমর সিং রাই৷ জিটিএ-র তরফেও মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানান মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং৷ দুর্ঘটনার পর পাহাড়ের বহুতল নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে৷ দু’দিন আগেই দার্জিলিংয়ের লোদামাতে বাড়ি ধসে মৃত্যু হয় একই পরিবারের তিনজনের৷ ফলে উদ্বেগ বাড়ছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.