সুকুমার সরকার, ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর হয়েছে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামির। এবার তার পরিবারকে ছাড়তে হচ্ছে রাজউকের বরাদ্দকৃত প্লটে নির্মিত পাঁচটি ফ্ল্যাট। রাজধানী ঢাকার বনানীর ১৮ নম্বর রোডের ৬০ নম্বর প্লটটি নিজামিকে বরাদ্দ করেছিল বিএনপি-জামাত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার। একটি ডেভেলপার সংস্থাকে দিয়ে ওই প্লটে বাড়ি তৈরি নেন তিনি। ‘মিশন নাহার’ নামের ওই ছয়তলা বাড়িতে মোট দশটি ফ্ল্যাটের পাঁচটি নিজামির। গৃহ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বুধবার ঘোষণা করেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বরাদ্দ সরকারি প্লটগুলো বাতিল করা হয়েছে।
গৃহ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের নামে বরাদ্দকৃত যেসব প্লট বা ফ্ল্যাটে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি কাজ করছে, তারা তাদের অংশ পাবে। বাকি অংশ সরকার নিয়ে নেবে। গুলশান-বনানীকে বিভাজনকারী ঝিলের পাশ ঘেঁষেই জে ব্লকে দাঁড়িয়ে আছে ধূসর সাদা রঙের ‘মিশন নাহার’। বাড়িটি বানিয়েছে মিশন ডেভেলপার লিমিটেড। এ বাড়ির নামের প্রথম অংশ ডেভেলপার কোম্পানির নামের অংশবিশেষ এবং শেষ অংশটি নিজামি স্ত্রী শামসুন নাহার নামের শেষ অংশ। নিজামির স্ত্রী শামসুন নাহার জামাতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ছয়তলা বাড়িটির নিচতলায় পার্কিং। আর ওপরের পাঁচটি ফ্লোরে মোট ১০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। ৫টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ৬এ এবং ৬বি ফ্ল্যাট (টপ ফ্লোর) দু’টিতে নিজামির পুরো পরিবার বসবাস করে। আর বাকি ৩টি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৫ সালে আজিজুর রহিম নামের এক ব্যক্তিকে পাঁচ কাঠার ওই প্লটটি বরাদ্দ করা হয়েছিল। পরে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৬ সালের ২১ মে আগের বরাদ্দ বাতিল করে প্লটটি তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামিকে বরাদ্দ করে রাজউক। বাড়িটি তৈরি হওয়ার আগেই গ্রেফতার হন নিজামি। ফলে তিনি আর এ বাড়িতে থাকতে পারেননি। পঞ্চম যুদ্ধাপরাধী হিসেবে গত ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জামাতের আমির মতিউর রহমান নিজামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.