স্টাফ রিপোর্টার: শেষপর্যন্ত ঝুলি থেকে বিড়াল বেরোল। আর জি করের চেস্ট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা.অরুণাভ দত্ত চৌধুরী জানালেন, খুন হওয়া তরুণী চিকিৎসকের বাড়িতে ‘আত্মহত্যার’ খবর দিয়েছিলেন অ্যাসিসট্যান্ট সুপার। কিন্তু কেন এহেন ভুল তথ্য দেওয়া হল, তার কোনও উত্তর মেলেনি।
আর জি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা বাংলা। টানা ধরনায় চিকিৎসকরা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে সন্দেহভাজন একজনকে। পুলিশের দাবি, ধৃত জেরার মুখে দোষ স্বীকারও করেছে। তবে তার পরও তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। শোনা যায়, মৃতার বাড়িতে ফোনে জানানো হয়েছিল, মৃতা আত্মহত্যা করেছেন। সেই তথ্য কে দিয়েছিলেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিলই। এবার তা মোটের উপর স্পষ্ট হল। চেস্ট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা.অরুণাভ দত্ত চৌধুরী জানালেন, খুন হওয়া তরুণী চিকিৎসকের বাড়িতে ‘আত্মহত্যার’ খবর দিয়েছিলেন অ্যাসিসট্যান্ট সুপার। তবে কেন এমন মিথ্যা তথ্য চিকিৎসকের বাড়িতে ফোন করে জানানো হল তার কোনও উত্তর তিনি দেননি।
এদিকে শুক্রবার রাতে সেমিনার হলের চাবি কার কাছে ছিল, সকালে কে চাবি খোঁজে প্রথম, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এবিষয়ে কলেজের চেস্ট মেডিসিনের অরুণাভ দত্তচৌধুরীকে ডেকে পাঠান অধ্যক্ষ। ডেকে পাঠান নার্সিং ইনচার্জ কৃষ্ণা সাহাকে। নার্সিং সুপারের দাবি, সেই রাতে তাঁর ওয়ার্ডে মোট চারজন নার্স ডিউটিতে ছিলেন। কৃষ্ণা সাহার দাবি, আদতে সেমিনার হল চিকিৎসকরা ব্যবহার করেন। বাক্সে চাবি থাকে। যার দরকার হয় নেন। আবার জমা দিয়ে চলে যান। মূলত লেখাপড়া করার জন্য চাবি নেওয়া হয়। তবে সেই রাতে কে চাবি নিয়েছিল তার কোনও রেকর্ড নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.