সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটানা বৃষ্টি। মাঝেমধ্যে ক্ষণিকের জন্য শরতের আকাশ প্রকট হয়েও উধাও। মুখভার আকাশের। মেঘ কাটবে কাটবে করেও কাটছে না! সেই সঙ্গে দুশ্চিন্তার মেঘ কাটেনি ব্যবসায়ীদেরও। কারণ, পুজোর বাজার এবার মন্দা। তাই ওদেরও মুখভার।
ক্যালেন্ডার বলছে, পুজো আর হাতে গোনা দিন দশেক। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে চলছে জোর কদমে প্রস্তুতি। শৈশব থেকেই দুগ্গার আগমনের অধীর অপেক্ষায় থাকি আমরা। কটা জামা হল? এই প্রশ্নের সঙ্গে আমরা বাঙালিরা বোধহয় আঁতুর ঘর থেকেই জড়িয়ে যাই! জামা-জুতো, গয়না-গাঁটি সব ম্যাচিং চাই। তারপর আনুষঙ্গিক আরও কত কিছুই তো থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাই শহরের দুই প্রান্তের দুই ফুটপাত বাজারেও ভিড় উপচে পড়ে। এবারও তার অন্যথা হয়নি। তবে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম, বলছেন উত্তর কলকাতার হাতিবাগান এবং দক্ষিণের গড়িয়াহাট চত্বরের ব্যবসায়ীরা।
অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা লেগেছে সব ক্ষেত্রেই। পুজোর রমরমে বাজারেও যথারীতি লেগেছে সেই আঁচ। জিডিপির হার ক্রমাগত ওঠা-নামা করছে। গত বছরের তুলনায় এবার কেনাকাটির হার প্রায় ৩০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ কম।
ঠিক কেন এবছর পুজোর বাজারে এরকম হারে মন্দা? আর্থিক মন্দা এবং অনলাইনে সস্তার জিনিসের জন্যই বাজারের এই হাল, মত ব্যবসায়ীদের। বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা লেগেছে সব ক্ষেত্রেই। পুজোর রমরমে বাজারেও যথারীতি লেগেছে সেই আঁচ। জিডিপির হার ক্রমাগত ওঠা-নামা করছে। গত বছরের তুলনায় এবার কেনাকাটির হার প্রায় ৩০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ কম। তার উপর যে হারে বৃষ্টির ঢল নামছে প্রতিদিন প্রায় দফায় দফায়, কেউ আর বাইরে জামাকাপড় কিনতে যাওয়ায় সাহস পাচ্ছেন না।
শুধু যে জামাকাপড়ের বাজারে মন্দা লেগেছে এমনটাই নয়। দিন কয়েক আগেই কুমোরটুলিতে ঢু মেরে দেখা গেল এক অন্যরকম চিত্র। যা গত অন্যান্য বছরগুলির সঙ্গে একেবারেই মিলছে না। মৃণ্ময়ী এখনও প্রস্তুত নন প্যান্ডেলে অবতরণের জন্য। মৃৎশিল্পীদের জিজ্ঞেস করা হলে, তাঁরা জানান এবার অর্ডার অনেক দেরি করে মিলেছে। প্রথমটায় অর্ডার সেরকম পাওয়াই যায়নি। তাই এত দেরি মূর্তি প্রস্তুতিতে। এছাড়াও প্রচুর বেসরকারি জায়গায় কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। বহু প্রতিষ্ঠানে সেভাবে বোনাসও মেলেনি। এছাড়াও শপিং মলে অফারের ছড়াছড়ি। অন্যদিকে, ক্রেতাদের মতে এবার জিনিসপত্রের দামও বেশ চড়া, তাই হাতে টাকাপয়সা কম থাকায় কেনার সাহস কেউ পাচ্ছে না। সব মিলিয়ে জেরবার পুজোর বাজার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.