সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও মারণ, ঘাতক আগ্নেয়াস্ত্রর খোঁজে ভারতীয় সেনাবাহিনী। বিশ্বজুড়ে জঙ্গি হানার প্রেক্ষিতে সতর্ক থাকতে ও কম সময়ে বেশি সংখ্যক জঙ্গিকে নিকেশ করতে ঢেলে সাজতে চলেছে সেনার অস্ত্রভাণ্ডার। যার প্রথম পদক্ষেপ ডিআরডিও-র তৈরি ৫.৫৬x৪৫ এমএম ক্যালিবারের ‘এক্সক্যালিবার রাইফেল’ বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ। তার বদলে ৭.৬২x৫১ এমএম ক্যালিবারের নিউ জেনারেশন অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে পেতে চান দেশের জওয়ানরা। কারণ, নয়া রাইফেলের মারণক্ষমতা ও শত্রুকে রুখে দেওয়ার ক্ষমতা ঢের বেশি।
গত এপ্রিল মাসে আর্মি কম্যান্ডো কনফারেন্সে এই নয়া আগ্নেয়াস্ত্রর প্রসঙ্গ ওঠে। দ্রুতই এ বিষয়ে আরএফএই বা ‘রিকোয়েস্ট ফর ইনফরমেশন’ জারি করা হবে। যার পর গোটা দুনিয়ার প্রথম সারির বিশেষ বাহিনীগুলির কাছ থেকে ৭.৬২x৫১ এমএম ক্যালিবারের অ্যাসল্ট রাইফেল সম্পর্কে তথ্য ও মতামত চাওয়া হবে। রাইফেলটির ‘টেকনিক্যাল প্যারামিটার’ সম্পর্কে স্পষ্ট করে জেনে তারপর টেন্ডার ডাকা হবে। নয়া রাইফেলটি ৫০০ মিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকেও নিখুঁত নিশানা করতে পারে। অন্যদিকে ৫.৫৬x৪৫ এমএম ক্যালিবারের ‘এক্সক্যালিবার রাইফেল’ সেনার স্ট্যান্ডার্ড ইনসাস রাইফেলের আধুনিক ভার্সন, যা ৪০০ মিটার দূরে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে পারে। ১৯৯৪-৯৫ সালে ‘ইনসাস’ অবসর নেওয়ার পর সেনাবাহিনী ওই রাইফেলের ব্যবহার করা শুরু করে।
(‘ব্রহ্মস’-এর পর ‘বরুণাস্ত্র’, ভিয়েতনামের অস্ত্রভাণ্ডার বাড়াচ্ছে ভারত)
ভারতীয় সেনার ঘোষিত নীতি মোতাবেক, যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুকে প্রাণে মেরে ফেলার চেয়ে বেশি লাভ ঘায়েল করতে পারলে। ৫.৫৬x৪৫ এমএম ক্যালিবার রাইফেলের গুলি লেগে শত্রু ঘায়েল হলে তাকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে আরও দুজন ব্যক্তির প্রয়োজন হয়। যার ফলে একসঙ্গে তিনজন শত্রু যুদ্ধক্ষেত্র থেকে হঠে যায়। কিন্তু ফিদায়েঁ জঙ্গি হামলা হলে এই নীতি কাজে লাগে না। তখন প্রত্যেক গুলিতে জঙ্গি নিকেশ করার দরকার। সেক্ষেত্রে এই নিউ জেনারেশন অ্যাসল্ট রাইফেল অনেক বেশি কার্যকরী। ন্যাটো বাহিনীও এই রাইফেল ব্যবহার করে।
(বারাক-৮ ক্ষেপণাস্ত্রর সফল উৎক্ষেপণের ‘হ্যাট্রিক’)
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.