[তুচ্ছ কারণে রক্তারক্তি, ঘরে ছাগল ঢোকার প্রতিবাদ করায় যুবককে কোপ]
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: দক্ষিণবঙ্গের রাজনীতিবিদদের মধ্যে তিনি প্রায় সব সময় থাকেন সংবাদ শিরোনাম। কখনও হুঙ্কার, কখনও বিতর্কিত মন্তব্য। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের এবার সুরক্ষা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গেল। ওয়াই ক্যাটাগরি থেকে জেড ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা হল তাঁর নিরাপত্তা। তবে নিজের এই বাড়তি নিরাপত্তা নিয়ে তেমন আমল দিতে চাননি এই ডাকাবুকো নেতা।
[ত্রিপুরায় পদ্ম ফোটানোর নেপথ্য কারিগর তিনিই, কে এই সুনীল দেওধর?]
বাড়তি নিরাপত্তা নিয়েই রবিবার দলীয় কর্মসূচিতে দেখা যায় অনুব্রতকে। তারাপীঠ থানার তারাপুর প্রাইমারি স্কুলের মাঠে মহিলা সম্মেলনে তিনি হাজির ছিলেন। তবে এই নিরাপত্তা বৃদ্ধির প্রশ্নে সাংবাদিকদের অনুব্রতর সংক্ষিপ্ত জবাব, জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা তাঁর উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুরক্ষা নিয়ে মাতামাতি করতে নারাজ তিনি। এদিন মহিলা সম্মেলনে সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মহিলাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করার নির্দেশ দেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, “ আমরা প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়কে শ্রদ্ধা করি। প্রণাম করি। উনি পশ্চিমবঙ্গের জন্য চিন্তা করেছিলেন। তারপর যদি কেউ চিন্তা করেন তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” ত্রিপুরার পর বিজেপির বাংলা দখলের স্লোগানকে তিনি পাত্তা দেননি। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিজেপির এই মিশনকে নেশা-ভাং খাওয়ার সঙ্গে তুলনা করেন অনুব্রত। এই নিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, “দুর্গাপুজো, কালীপুজোর সময় ভাং যখন কেউ খান, তখন নেশার ঘোরে অনেক কিছু বলে থাকেন। কেন ত্রিপুরা ধরে রাখতে পারল না সেকথা সিপিএম কি বলতে পারবে।”
[মেঘালয়ও হাতছাড়া কংগ্রেসের, সরকার গড়ছে এনপিপি-বিজেপি জোট]
জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা প্রসঙ্গে অনুব্রত ফের বলেন, “আমার বরাবরই নিরাপত্তারক্ষী আছে। তবে জেড ক্যাটাগরি কেন করল তা প্রশাসন বলতে পারবে। কেন দিয়েছে, তা একমাত্র বলতে পারবে জেলা পুলিশ সুপার কিংবা স্বরাষ্ট্র দফতর। আমি জীবনে কোনওদিন ভয় পাইনি। এখনও ভয় পাই না। বীরভূম জেলায় কেন, কোনও জেলাতেই ভয় পাই না। আমি মৃত্যুর ভয় করি না। আমার একটা পুলিশ থাকলেও চলবে, না থাকলেও চলবে। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৯৪ সালে আমার নিরাপত্তারক্ষী ছিল।” রক্ষী বাড়লেও তিনি যে একইরকম থাকবেন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.