সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চূড়ান্ত নাটকের মধ্যে মেঘালয়ও হাতছাড়া হয়ে গেল কংগ্রেসের। পাহাড়ি রাজ্যে সরকার গড়ছে এনডিএ। ক্ষমতায় আসছে এনপিপি ও বিজেপির জোট সরকার। এক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে কংগ্রেসের ২১টি আসনে জয় জলেই গেল কার্যত। এনপিপি নেতা কনরাড সাংমা সরকার গঠনের জন্য রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানান। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আগামী ৬ মার্চ শপথগ্রহণ করবেন তিনি, এমনটাই সূত্রের খবর। গোয়া ও মণিপুর মডেলের পুনরাবৃত্তি করে লাভের গুড় খেয়ে নিল গেরুয়া শিবির। ভোটের ফলাফল বের হতেই কংগ্রেস হাই কমান্ডের তদ্বির, এত দৌড়ঝাঁপ, কমল নাথদের তড়িঘড়ি শিলংয়ে পৌঁছে যাওয়া, মধ্যরাতে রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠনের আবেদন কিছুই আর ধোপে টিকল না। সরকার গঠনের জন্য কংগ্রেসের প্রয়োজন ছিল ৯ জন বিধায়কের। তাই রবিবার ৬টি আসনে জেতা ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক পার্টির দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেসের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। কিন্তু বরফ গলাতে ব্যর্থ তিনি। ইউডিপি প্রেসিডেন্ট ডোঙ্কুপর রায় জানিয়ে দেন, তাঁরা অকংগ্রেসি সরকার গড়তেই ইচ্ছুক। তাই তাদের সমর্থন যায় এনপিপির প্রতি। আর তাতেই কেল্লা ফতে বিজেপির।
বিজেপি-এনপিপি-ইউডিপি মিলে যাওয়ায় সম্মিলিত বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়াল ৩৪। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েই রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠনের আবেদন জানান কনরাড সাংমা। এদিকে শেষ চেষ্টা একটা করেছিলেন কংগ্রেসের মুকুল সাংমা। ডোঙ্কুপর রায়কে আড়াই বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর গদিও প্রস্তাব দেন তিনি। কিন্তু তাতে চিড়ে ভেজেনি ইউডিপি প্রধানের। ত্রিপুরা ও নাগাল্যান্ডে খাতা খুলতে ব্যর্থ দেশের গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির ভরসা ছিল মেঘালয়। কিন্তু গোয়া ও মণিপুরের মতো একই পরিণতি হল এখানেও। ম্যাজিক ফিগার ৩০-এর জন্য কংগ্রেসের প্রয়োজন ছিল ৯ জন বিধায়ক। ইউডিপির ৬ এবং পিডিএফের ৪ বিধায়কের সমর্থন পেয়ে গেলেই সরকার গড়ার উদ্যোগ নিত কংগ্রেস। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিয়ে ইউডিপি ও পিডিএফ চলে যায় এনডিএ শিবিরে। তাদের সম্মিলিত সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৪। ভোটের বাক্সে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও মেঘালয় হাতছাড়া হয়ে গেল কংগ্রেসের। উত্তর-পূর্বে প্রায় নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে শতাব্দী প্রাচীন দল। এখন একমাত্র টিমটিম করছে মিজোরাম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.