সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়টা বছর দু’য়েক আগের। লোকসভা নির্বাচন প্রায় নাকের ডগায়৷ কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকার বুঝে গিয়েছে, তাদের দিন শেষ হতে চলেছে। ঠিক তেমন সময়েই গুজরাতের এক ছোট্ট চায়ের দোকানে আয়োজিত হয়েছিল ‘চায়ে পে চর্চা’৷ চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দিতে দিতে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মোদির সঙ্গে জনতার ভাব বিনিময়ের অনুষ্ঠান৷ এর পর বছর ঘুরেছে৷ বহু পাঁচ তারা, সাত তারা হোটেলের বলরুম কিংবা বাগানে ভিআইপিদের সঙ্গে ‘চায়ে পে চর্চা’য় বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ কিন্তু, গুজরাতের জনতা ভুলতে পারেনি সেই প্রথম চায়ের দোকানের আড্ডাটি৷ ফলে ভিড় বেড়েছে৷ অখ্যাত চায়ের দোকানের বেড়েছে খ্যাতি৷ আর সেই খ্যাতির বিড়ম্বনাতেই উঠে যেতে বসেছে দোকানটি৷
আমেদাবাদের সরখেজ-গান্ধীনগর হাইওয়ের পাশে আটটি দোকানের একটা জটলা রয়েছে৷ তারই একটি সাক্ষী নরেন্দ্র মোদির প্রথম ‘চায়ে পে চর্চা’র৷ নাম ‘ইস্কন গাঁঠিয়া’৷ কিন্তু, সে নাম কবেই ভুলেছে আমেদাবাদের মানুষ৷ গত দু’বছরে এই চায়ের দোকানটি পরিচিত হয়েছে নমো (নরেন্দ্র মোদি) টি-স্টল নামে৷ আমেদাবাদের পুরসভা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, উপযুক্ত পার্কিং লট না থাকায় দোকানটি সমস্যা সৃষ্টি করছে হাইওয়েতে৷ রাস্তার পাশে দাঁড় করানো গাড়ি অন্য গাড়ি যাতায়াতের সমস্যা তো বাড়াচ্ছেই, সেই সঙ্গে বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও৷ বার বার বলা সত্ত্বেও দোকানের মালিক পার্কিং লটের জায়গা বাড়াননি৷ তাই শেষমেশ বাধ্য হয়েই দোকানটিকে সিল করে দিয়েছে পুরসভা৷ সেই সঙ্গে জানিয়েছে গত চার বছর ধরে বিল্ডিং ইউজ পারমিশন ছাড়াই বেআইনিভাবে ওই দোকানে ব্যবসা চালানো হচ্ছিল৷ আর তাই দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷
‘ইস্কন গাঁঠিয়া’তে প্রথম ‘চায়ে পে চর্চা’র আয়োজন হয় ২০১৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি৷ পুরসভার বক্তব্য মানলে মোদি এবং বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব যখন সেখানে ‘চায়ে পে চর্চা’র আয়োজন করেছিলেন, তখনও বেআইনিভাবেই দোকানটি ব্যবহার করা হচ্ছিল৷ তবু, সে সময় কেন এ ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.