ফাইল ছবি।
কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: অতিমারির কারণে বন্ধ ক্লাস। অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ক্লাস শুরু করতে উদ্যোগ নিতে চাইছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। পঠনপাঠন চালু করতে দুস্থ ছাত্রছাত্রীদের স্মার্টফোন দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার, বনিকসভা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তনী ও শিক্ষকদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে আবেদন জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি সামনে আসতেই অনলাইনে পড়াশুনো চালুর বিপক্ষে প্রতিবাদ উঠে এল অধ্যাপকদের একটি সংগঠনের তরফ থেকে। আবুটার (ABUTA) যাদবপুর শাখা অনলাইনে পঠনপাঠন শুরু হলে সর্বাত্মক আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে চিঠি পাঠালেন উপাচার্যের কাছে।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে বৈষম্য বাড়বে এই যুক্তি তুলে আবুটার বক্তব্য, রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকা তো বটেই খোদ কলকাতার বহু অঞ্চলে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবা মেলেনা। ফলে সবার পক্ষে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পঠনপাঠন অসম্ভব। এতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবুটার সাধারণ সম্পাদক গৌতম মাইতি বলেছেন, “শ্রেণিকক্ষ নির্ভর, পড়ুয়া-শিক্ষক সম্মিলিত সংলাপি-শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশে গঠিত ছাত্রছাত্রীদের ও শিক্ষকের শিক্ষা-মনস্তত্ত্ব গড়ে ওঠা অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে সম্ভব নয়। করোনা পরিস্থিতিকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করে বাণিজ্যিক স্বার্থে যেভাবে পঠনপাঠন, গবেষণা, পরীক্ষা, ছাত্র ভরতি ইত্যাদি কাজ অনলাইনে সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ জারি করা হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক।”
এর পাশাপাশি সংগঠনের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়য়ের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও অন্যান্য প্রয়োজনে আর্থিক বিষয় দেখভালের দায়িত্ব সরকারের। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য যদি বিশ্ববিদ্যালয় অন্যধরনের আর্থিক সাহায্যের উপর নির্ভর করতে শুরু করে তাহলে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সরকারি আর্থিক বরাদ্দ ছাঁটাই হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব বিপন্নের আশঙ্কা সৃষ্টি হবে। আবুটার যুক্তি, বণিক সভার মুখাপেক্ষী হওয়ার অর্থ, শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের পথকে সুগম করা। যার ফলে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ছাত্রছাত্রীরা। এর প্রভাব পড়বে শিক্ষকসমাজ-সহ সাধারণ মানুষের উপরও। এই ঘোষণা প্রত্যাহার না করলে এর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছে এই বাম সংগঠন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.