ছবি: প্রতীকী
স্টাফ রিপোর্টার: একমাত্র মেয়েকে দিল্লির পতিতা পল্লিতে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হলে তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শ্যামলী হালদারের স্বামী মারা যান তিন বছর আগে৷ তার বাড়ি দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাটে৷ স্বামী সঞ্জয় হালদারের মৃত্যুর পর সোনারপুরের নরেন্দ্রপুরে চলে আসে শ্যামলী৷ সেখান থেকে দিল্লির একটি পতিতা পল্লিতে চোদ্দো বছর বয়সি মেয়েকে বিক্রি করে দেয় নয় লক্ষ টাকার বিনিময়ে৷ বাসন্তীর এক যুবকের সাহায্যে কোনওরকমে পালিয়ে আসে মেয়ে৷
ফিরে এসে ওই কিশোরী বলেছে, বাসন্তীর কলহাজারা গ্রামের এক যুবক ওই পতিতা পল্লিতে যায়৷ সেখানে কিশোরীর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর৷ মূলত তাঁর সঙ্গেই দিল্লি থেকে পালিয়ে আসতে পেরেছে সে৷ যুবতীর আরও অভিযোগ, বছরখানেক আগে এক ব্যক্তির সঙ্গে কাজে পাঠানো হয় তাকে৷ কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারে তাকে লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে৷
গ্রেফতার হওয়া মা অবশ্য এই বিষয়ে কিছু বলতে চায়নি৷ ক্যানিং থানার পুলিশ ওই কিশোরীকে এদিন হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করে৷ মেয়েটির দিদিমা সবিতা হালদার জানিয়েছেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে মেয়ের কথা জিজ্ঞাসা করছি৷ কোনও স্পষ্ট উত্তর দেয়নি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.