জ্যোতি চক্রবর্তী, বসিরহাট: আত্মীয়ের প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল বছর ১৭-এর কিশোরী। সংসার বাঁধার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। কিন্তু প্রেমিকা নাবালিকা হওয়ায় এই মুহূর্তে বিয়ে করা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছিল যুবক। নাছোরবান্দা নাবালিকাও। বিয়ের দাবিতে বুধবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে (Hingalganj) প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসে সে।
জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা আদতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) ছোট মোল্লাখালি থানার কুমিরমারী গ্রামের বাসিন্দা। বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ থানার নবীগঞ্জে তার এক আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে। সেই কারণে প্রায়ই সেখানে আসত সে। সেই সুবাদেই নাবালিকার সঙ্গে পরিচয় হয় নবীগঞ্জের বাসিন্দা বছর একুশের মহাদেব সরদারের। আলাপ থেকে ফোন নম্বর আদান প্রদান হয়। শুরু হয় দীর্ঘক্ষণ কথা বলা। এরপর প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তারা। বিয়ের পরিকল্পনাও শুরু করে। কিন্তু প্রথম থেকেই মহাদেব বলেছিল, প্রেমিকার বয়স ১৮ পেরনোর পরই বিয়ে করবে তিনি। কিন্তু তা মানতে চায়নি কিশোরী।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার বিয়ের দাবিতে হিঙ্গলগঞ্জে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসে নাবালিকা। তখনও তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন মহাদেব। কিন্তু তাতে কোনও লাভই হয়নি। এরপরই বাধ্য হয়ে ফোনে হাসনাবাদের কেয়া চাইল্ড লাইনের সদস্য শফিকুল ইসলামকে গোটা বিষয়টি জানান মহাদেব। খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় চাইলন্ড লাইনের সদস্যরা। দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পর প্রেমিক যুগলের থেকে মুচলেখা নেয় সংস্থার সদস্যরা। জানায়, ১৮ পেরনোর আগে কোনওভাবেই বিয়ে নয়। এরপর ধরনা তোলে নাবালিকা। নবীগঞ্জের মতো এলাকায় এহেন ঘটনায় হতচকিত স্থানীয়রা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.