স্টাফ রিপোর্টার: পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য-মডেল গোটা দেশে প্রশংসিত৷ স্বাস্থ্যপ্রকল্পগুলি থেকে রাজ্যের কোটি কোটি প্রান্তিক মানুষ উপকৃত হচ্চেন৷ অথচ, বিরোধীদের তা স্পর্শ করছে না৷ বিরোধীরা কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না৷ বাজেট বক্তৃতায় এভাবেই কংগ্রেস ও বামেদের কটাক্ষ করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. শশী পাঁজা৷ জানালেন, ৪১টি প্রস্তাবিত মাল্টি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের মধ্যে ইতিমধ্যেই সাতটিতে অন্তর্বিভাগ ও ৩২টিতে বহির্বিভাগ চালু হয়ে গিয়েছে৷ আরও ন’টা চালু হবে৷
শুক্রবার বিধানসভায় স্বাস্থ্যবাজেট নিয়ে আলোচনা শেষে বক্তব্য রাখেন শশী পাঁজা৷ বিরোধী শিবির থেকে মাল্টিসুপারস্পেশালিটি নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন রাখা হয়৷ কংগ্রেসের সুখবিলাস বর্মা থেকে সিপিএমের রামশঙ্কর হালদার, সমর হাজরা প্রত্যেকেই এই ইস্যুতে রজ্যের সমালোচনা করেন৷ সুখবিলাসবাবু অভিযোগ করেন, জেলা হাসপাতালগুলি থেকে ডাক্তার-নার্স তুলে নিয়ে সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল চালানোর চেষ্টা করছে সরকার৷ সুপারস্পেশালিটি খাতে বরাদ্দ হওয়া অর্থও খরচ করতে পারছে না৷ যদিও মন্ত্রী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কেন্দ্রের ২৩০৩ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু দিয়েছে মাত্র ৭০০ কোটি টাকা৷ বাকি টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার৷ মন্ত্রী আরও বলেন, “রাজ্যে ডাক্তারের আকাল রয়েছে৷ এটা ঠিক৷ কিন্তু, আমরা প্রাইভেট সেক্টরের চিকিৎসকদের কনসালট্যান্ট হিসাবে এখানে কাজে লাগাতে শুরু করেছি৷” এদিন তৃণমূলের বিধায়ক ডা. নির্মল মাজিও স্বাস্হ্যক্ষেত্রে সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন৷ বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে ২০১১ পর্যন্ত রাজ্যে সরকারি হাসপাতালের শয্যার সংখ্যা ছিল ৪৮,৩৬০৷ এখন তা বেড়ে হয়েছে ৭৮,৪৮৭৷ মাত্র সাড়ে চার বছরে বেড় বেড়েছে ৩০ হাজার৷ নির্মলবাবু এদিন ফের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সূর্যকান্ত মিশ্রের স্ত্রী উষা মিশ্রর এনজিও-র বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের দাবি তোলেন৷ বক্তব্য রাখেন তৃণমূলের শ্যামল মণ্ডলও৷ অন্যদিকে, সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বিধানসভায় শাসকদলের বিধায়করা মাল্টি সুপারস্পেশলিটি হাসপাতাল নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পরিবেশন করছেন৷ আমার প্রশ্ন, সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের সংজ্ঞা কী? শুধু বড় বড় বাড়ি দেখতে পাচ্ছি৷” সুজনবাবুর অভিযোগ, ডায়মন্ডহারবারের বালি ব্লকে বালি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে৷ সরকারের দেওয়া তথ্যে এমনটাই বলা হয়েছে, এমন কোনও হাসপাতালের অস্তিত্ব নেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.