Advertisement
Advertisement

তোলাবাজির হুমকি, রাজারহাটে ধৃত আরও ৫

দ্বিতীয়বার তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর শুধুমাত্র বিধাননগর কমিশনারেট এলাকা থেকে সিন্ডিকেট ও তোলাবাজির অভিযোগে মোট ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷

5 arrested in Rajarhat for forceful money extortion
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 18, 2016 4:06 pm
  • Updated:June 22, 2022 5:07 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: সিন্ডিকেট রাজ বা তোলাবাজির নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি যে রাজ্য সরকার আর বরদাস্ত করবে না তা আবারও প্রমাণ মিলল৷ রাজারহাটের সিন্ডিকেট দাদাগিরিতে অভিযুক্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, এদের বিরুদ্ধেও জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দেওয়া হচ্ছে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশের ফলেই সিন্ডিকেট ও তোলাবাজিতে অভিযুক্তরা একের পর এক পুলিশের জালে ধরা পড়ছে৷

নবান্ন সূত্রেও পুলিশ আধিকারিকদের কাছে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, যে কোনও অভিযোগ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে৷ গত মঙ্গলবার বিধাননগরের দাপুটে কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ তার এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই আরও এক কাউন্সিলরের নাম উঠেছে বিভিন্ন মহলে৷ তৃণমূল ও প্রশাসন সূত্রে খবর, কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ দ্বিতীয়বার তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর শুধুমাত্র বিধাননগর কমিশনারেট এলাকা থেকে সিন্ডিকেট ও তোলাবাজির অভিযোগে মোট ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷

Advertisement

সোমবার বাগুইআটির দশদ্রোণ এলাকা থেকে সিন্ডিকেটের দুই পান্ডা অভিজিত্‍ দাস ও প্রশান্ত সামন্তকে তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ একটি নামকরা নির্মাণ সংস্থার কাছ থেকে ৬০ লাখ টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগে এদের ধরেছে পুলিশ৷ এই দু’জন ছাড়াও অনুপ সিংহরায় ওরফে বাবন নামে আরও এক সিন্ডিকেট চাঁইকে এদিন এয়ারপোর্টের সলুয়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ এর বিরুদ্ধেও তোলা চেয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন এক ব্যক্তি৷ গত শনিবার এয়ারপোর্ট থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানান তিনি৷ এছাড়া বিধাননগর কমিশনারেটের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আরও দু’টি নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দুই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে৷ অভিজিৎ, প্রশান্ত ও অনুপ ছাড়াও এদিন এয়ারপোর্টের নারায়ণপুর এলাকা থেকে আরও দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ এদের বিরুদ্ধেও জোর করে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে৷ এদের নাম রাজু কুণ্ডু ও সঞ্জীব সরকার৷ বিধাননগর পুরনিগমের দাপুটে তৃণমূল কাউন্সিলর ডাম্পি মণ্ডলের ‘ঘনিষ্ঠ’ দাবি করে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা তুলত অভিজিৎ, প্রশান্ত ও বাবন৷ যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করে ডাম্পির বক্তব্য, এই নামের কাউকে তিনি চেনেন না৷

গত তিনদিনে বিধাননগর পুরনিগমের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তিনটি নির্মাণকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে৷ এক পুলিশ কর্মী, একটি নির্মাণ সংস্থা ও একজন সাধারণ মানুষ থানায় লিখিতভাবে তোলাবাজি ও হুমকির অভিযোগ জানিয়েছেন৷ নবান্ন সূত্রে অবশ্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে৷ আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে যে কোনওরকম আপস করা হবে না, তা পুলিশ আধিকারিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে কোনওরকম অভিযোগ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে৷ মানুষের মনে পুলিশ সম্পর্কে ধারণার উন্নতি ঘটাতে হবে৷ তোলাবাজদের বিরুদ্ধে নবান্ন এমন কঠোর মনোভাব নেওয়ায় বহু জায়গায় তোলাবাজ দুষ্কৃতীরা এলাকাছাড়া হয়ে পড়ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement