সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিসাব মতো এখন তো ছোট্ট মেয়ের ‘সহজ পাঠ’ পড়ার বয়স৷ কিন্তু এই মেয়ে তো যে সে মেয়ে নয়৷ মাত্র দেড় বছর বয়সেই সে পড়ে নিয়েছিল রামায়ণ৷ তাও একদম বড়দের মতো করে৷ আর চার বছরেই সে নবম শ্রেণির বইপত্র পড়ে ফেলছে চটপট৷ খবরের কাগজও পড়ে ফেলতে পারছে কোনও রকম সমস্যা ছাড়াই৷ আর তাই মাত্র চার বছর আট মাস বয়সেই নবম শ্রেণিতে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে তাকে৷
কে এই বিস্ময় বালিকা?
উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের বাসিন্দা সাড়ে চার বছরের অনন্যা বর্মা হল সেই বিস্ময় বালিকা৷ ছোট্টবেলা থেকেই তার লেখাপড়ার উৎসাহ এবং চটপট শিখে নেওয়ার পারদর্শিতা দেখে তাক লেগেছিল সকলের৷ যদিও তার পরিবারে তার অন্য ভাইবোনরাও কম যায় না৷ তার বড় দিদি সুষমা মাত্র ১৫ বছর বয়সেই পিএইচডি করতে শুরু করেছে এবং তার বড় দাদা শৈলেন্দ্র ১৪ বছরেই বিসিএ অন্তিমবর্ষে লেখাপড়া করছে৷
অনন্যার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ছোট থেকেই লেখাপড়ায় খুব উৎসাহ ছোট্ট এই মেয়ের৷ নিজের গরজেই পড়াশোনা করতে বসে যেত সে৷ খবরের কাগজ এবং নানাধরনের বই নিয়মিত পড়ত সে৷ ইচ্ছা ছিল একেবারে দশম শ্রেণিতেই ভর্তি হবে৷ কিন্তু সবকিছু বিচার করে উত্তরপ্রদেশ শিক্ষা দফতর তাকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি নেয়৷
শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অনন্যার এই লেখাপড়া এবং প্রতিভা দেখে তাঁরা অবাক হয়েছেন৷ শুধু তাই নয়, তার বই পড়ার ধরন খবরের কাগজ পড়া দেখে মুগ্ধ হয়েছেন সকলেই৷
জানা গিয়েছে, এইভাবে অনন্যা যদি লেখাপড়া জারি রাখে, তবে সে খুব শীঘ্রই দশম শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে৷ আর এই কাজ করতে পারলে, সে তার নিজের দিদির তৈরি রেকর্ডই ভেঙে দেবে৷ সে মাত্র ৭ বছর বয়সেই দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করে গিয়েছিল৷ মোট কথা, লিমকা বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তোলা থেকে বেশি দূরে নেই ছোট্ট অনন্যা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.