সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর কয়েকদিন পরেই কারগিল দিবসে গোটা দেশ নিহতদের স্মৃতির প্রতি সমবেদনা জানাবে৷ ২৬ জুলাই ১৭তম কার্গিল দিবস৷ সেই ভয়ঙ্কর রণভূমে নাগরিক-সেনা মিলিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৫০০ জন৷ কিন্তু ১৭ বছর পরেও কিছু ক্ষেত্রে চিত্রটা বদলায়নি৷ সেনার ভাঁড়ারে এখনও গোলাগুলির অভাব!
বর্তমানে যে পরিমাণ গোলা-বারুদ সেনা ভাণ্ডারে রয়েছে, প্রবল যুদ্ধ বাঁধলে তা দিয়ে লড়াই করা যাবে মাত্র ১৪ দিন৷ সেনা সূত্রেও গোলাগুলির এই অভাব মেনে নেওয়া হয়েছে৷ পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন, যে প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ গুলি ব্যবহার না করে সংরক্ষণ করা হচ্ছে৷ একই দশা কামান, সাঁজোয়া বাহিনীরও৷
কিন্তু বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম সেনাবাহিনীতে গোলাগুলির অভাব কেন? সূত্রের খবর, দেশের বৃহত্তম গোলাগুলি প্রস্তুতকারক ও সরবরাহকারী সংস্থা অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড (ওএফবি) প্রায় ১৪টি ইউনিট থেকে সেনাকে গোলাগুলি সরবরাহ করে৷ কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয়৷ দিন দিন প্রশিক্ষণ, নয়া বাহিনীর রক্ষণাবেক্ষণ, সন্ত্রাস মোকাবিলার জন্য গোলাগুলির চাহিদা বেড়েই চলেছে৷ কিন্তু চাহিদা মোতাবেক যোগান দেওয়ার সামর্থ্য বাড়েনি ওএফবি-র৷ যদিও অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷
২০১৫ সালের ক্যাগ রিপোর্ট বলছে, ২০১৬-১৭ সালে ৯.৩ কোটি ৯ এমএম বুলেটের চাহিদা তৈরি হবে৷ অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির সাধ্য নেই অত গুলি উৎপাদনের৷ এই মুহূর্তে যত গুলির দরকার, তার চেয়ে অন্তত ৭৫ শতাংশ গুলি কম রয়েছে সেনার ভাঁড়ারে৷ গতবছর তাও একটানা ২০ দিন লড়ার মতো গোলাগুলি ভারতীয় সেনার অস্ত্রভাণ্ডারে ছিল৷ এখন সেই সামর্থ্য কমে এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৪ দিনে৷ সামরিক বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত কারণ, একদিকে চিন-পাকিস্তানের মতো দেশ তাদের সেনাবহর বাড়িয়ে চলেছে৷ অন্যদিকে আইএস-বোকো হারামের মতো আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের কুনজর রয়েছে এদেশের দিকে৷ এই জোড়া ফলা সামলাতে সেনাবাহিনীকে অবিলম্বে পর্যাপ্ত গোলাবারুদের ভাণ্ডার তৈরি করার পরামর্শ দিচ্ছেন সমর-বিশেষজ্ঞরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.