শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: নতুন বছরে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে গরুমারা জাতীয় উদ্যানের প্রকৃতি পর্যটন। যাওয়া যাবে জঙ্গলের আরও গভীরে। আরও গভীর থেকে উপভোগ করা যাবে বনাঞ্চলের নিস্তব্ধতা।
দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম একশৃঙ্গ গণ্ডারের বাসভূমি এই উদ্যান। এতদিন গরুমারার গভীর জঙ্গলের ভিতর যাত্রাপ্রসাদ ওয়াচ টাওয়ার পর্যন্ত গিয়ে হাতি, গণ্ডার, বাইসন দর্শনের সুযোগ পেতেন পর্যটকরা। জঙ্গলের ভিতর ১৭ কিলোমিটার যাত্রাপথ অত্যন্ত রোমাঞ্চকর ছিল পর্যটকদের কাছে। এবার সেই পথকে আরও চার কিলোমিটার দীর্ঘ করে আরও গভীর জঙ্গলের ভিতর গণ্ডারদের বাসভূমি পর্যন্ত পর্যটকদের ঘুরিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগ। যাত্রাপ্রসাদ থেকে মেদলা ওয়াচ টাওয়ার পর্যন্ত আরও চার কিলোমিটার গভীরে জিপসি গাড়িতে করে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে বনাধিকারিক দ্বিজপ্রতীম সেন জানান, নতুন বছরের উপহার হিসাবে চার কিলোমিটার এই জঙ্গল পথ পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চারপামারির জঙ্গল ভ্রমণকে যাতে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায়, তারও পরিকল্পনা চলছে।
এখানকার প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণ পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণের। ২০১০ সালে দেশের সেরা জাতীয় উদ্যানের শিরোপা পায় গরুমারা জাতীয় উদ্যান। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত, এমনকি বিদেশ থেকেও পর্যটকরা আসেন এই উদ্যানে। পর্যটন থেকে আয়ের একটা বড় অংশ পান বনসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। বন ও বন্যপ্রাণ রক্ষায় তারাও বনকর্মীদের সঙ্গী হিসাবে কাজ করেন। বন্যপ্রাণ রক্ষায় একাধিক পদক্ষেপের পাশাপাশি এবার গরুমারার পর্যটন প্রসারেও বাড়তি নজর দিতে চলেছে গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.