Advertisement
Advertisement

Breaking News

Buxa Tiger Reserve

পুজোয় জঙ্গলে যাবেন নাকি? ৩ মাস পর গরুমারা ও বক্সায় শুরু সাফারি

পুজোয় পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশাবাদী পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

Buxa Tiger Reserve: Jungle safari again starts from 16th September
Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 15, 2024 8:34 pm
  • Updated:September 15, 2024 8:34 pm  

রাজ কুমার ও অরূপ বসাক: পুজোয় বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? জঙ্গলে যাবেন? ডুয়ার্সে যাবেন বলে বাক্স প্যাঁটরা গোছাতেও কি শুরু করেছেন? তবে আপনাদের জন্য সুখবর। কারণ, ৩ মাস পর গরুমারা এবং বক্সায় শুরু জঙ্গল সাফারি। সোমবার থেকেই শুরু হবে জঙ্গল সাফারি।

তিন মাস পর অবশেষে খুলতে চলেছে জঙ্গল। শুরু হবে জঙ্গল সাফারি। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে জঙ্গল খুলছে। তার আগে বক্সায় বাঘের দেখা মিলবে বলে দাবি করছে বনদপ্তর। এই আশায় বুক বেঁধেছেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকরা। প্রকাশ্যে সে কথা বলছেনও এই বনাঞ্চলের কর্তারা। তাতে পুজোর আগে স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া। তবে জয়ন্তীর পর্যটন ব্যবসায়ীদের মন ভার। কারণ, এখনও সেভাবে মেলেনি পুজোর বুকিং। জয়ন্তীর পর্যটন কোন দিকে এগোবে তা নিয়েও চিন্তিত ব্যবসায়ীরা। জানা গিয়েছে, বর্তমানে ৭৬০ বর্গ কিলোমিটার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের দুই জায়গা থেকে জঙ্গল সাফারি হয়। জিপসি গাড়িতেই মূলত জঙ্গল সাফারি হয়। রাজাভাতখাওয়া থেকে দুটো গাড়ি সাফারি করে। অন্য পাঁচটি সাফারি গাড়ি জয়ন্তী থেকে চলে। জঙ্গলে ঢুকতে গেলে প্রত্যেক পর্যটককে ১৫০ টাকার টিকিট কাটতে হয়।

Advertisement

আর প্রত্যেক সাফারি গাড়ি বুকিংয়ের জন্য ১ হাজার ৭৫০ টাকা দিতে হবে পর্যটকদের। তবে এই গাড়ির টাকা ৬ জনে শেয়ার করে দেওয়া যেতে পারে। একটি গাড়িতে ৬ জন সাফারি করতে পারেন। পাহাড়, জঙ্গল মিলিয়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে সাফারির রুট প্রায় মাত্র ৫০ কিলোমিটার। বক্সাতে হাতি সাফারির কোনও ব্যবস্থা নেই। উল্লেখ্য, গত বছরও বক্সাতে বাঘের দেখা মিলেছিল। এবার শীতেও গত বছরের মতো ভুটান থেকে বাঘ বক্সার জঙ্গলে নেমে আসবে বলেই আশা বনাধিকারিকদের।

এদিকে, গরুমারাতেও শুরু হচ্ছে সাফারি। ফের পর্যটকেরা জিপসি অথবা হাতির পিঠে চড়ে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। গরুমারার বিভিন্ন নজর মিনারে জিপসি গাড়িতে করে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার মূর্তি বিট অফিসে মূর্তি ও চালসা এলাকার জিপসি গাড়িগুলোকে পরীক্ষা করা হয়। গাড়ির প্রয়োজনীয় লাইট-সহ সিট ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ঠিকঠাক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়। গরুমারার এডিএফও রাজীব দে নিজে এই গাড়িগুলি খতিয়ে দেখেন। এডিএফও বলেন, “১৬ সেপ্টেম্বর থেকে জিপসি করে পর্যটকরা গরুমারার বিভিন্ন নজর মিনারে কার সাফারি করতে পারবেন। জঙ্গলের ভিতরে যাতে পর্যটকদের কোনও অসুবিধা না হয়, সে কারণে জিপসির পরীক্ষা করা হয়।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement