সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ১৪ আগস্ট থেকে বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছে কলকাতা। আর জি কর নির্যাতিতার বিচায় চেয়ে পথে নেমেছেন আমজনতা থেকে সেলেবরা। নিত্যদিন শহরে প্রতিবাদী আন্দোলন চলছে। তদন্ত প্রক্রিয়ার গতি কেন এত স্লথ? একজোটে প্রশ্ন তুলেছেন সকলে। রবিবার টালিগঞ্জ স্টুডিওপাড়ার টেলিপর্দার তারকাও পথে নেমে প্রতিবাদে সোচ্চার হলেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের ‘রাত্তিরের সাথী প্রকল্পে নারীদের নাইট ডিউটি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশিকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তাঁরা। রবিবার ইন্দ্রপুরী স্টুডিও থেকে দেশপ্রিয় পার্ক পর্যন্ত এই প্রতিবাদী মিছিলে হাঁটলেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রুকমা রায়, মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীতমা রায়চৌধুরী, ইন্দ্রনীল মল্লিক, সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকেই। মিছিলের পুরোভাগে দেখা গেল অঞ্জনা বসু, শ্রুতি দাসকে।
টেলিতারকাদের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। কে কী বললেন?
“মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে, কারণ আজকে আমাদের বোন আমাদের সেবা করতে গিয়ে কর্মস্থলেই জন্তুদের পাশবিকবৃত্তির শিকার। অথচ আজ পর্যন্ত আমরা তার উত্তর পাইনি। এমনকী রাজ্য সরকার দিনের পর দিন যে যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা রীতিমতো বিস্মিত করে। সিবিআই এত দীর্ঘ প্রক্রিয়া। খুব হতাশাজনক। ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত এই রাস্তায় নামা থামবে না।” – রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়
“মেয়েদের নাইটডিউটি বন্ধ করতে হলে নার্সদেরও নাইট শিফটের কাজ বন্ধ করতে হবে। বিভিন্ন লোকের বাড়িতে রাতে আয়ারাও কাজ করেন। তাহলে সকলের নাইট ডিউটি বন্ধ করলে, মানুষেরই বা পেট চলবে কী করে? আর মানুষই বা পরিষেবা পাবেন কী করে? কল সেন্টারে হাজার হাজার মেয়েরা কাজ করে রাতে। এই নাইট শিফট থেকে মেয়েদের অব্যাহতি দেওয়া কোনও সমস্যার সমাধান নয়। তার থেকে বরং ন্যায়বিচার প্রক্রিয়াটা দ্রুত হলে সুবিধে হবে।” – ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়
কণীনিকার প্রশ্ন, “শুধু কি রাতেই নারীরা নির্যাতিত হন? দিনের আলোয় কি এহেন ঘটনা ঘটছে না? আমার কাছে, নারী এবং পুরুষ আলাদা নয়। সমাজে উভয়েরই জায়গা থাকা উচিত। তাহলে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদেরও নাইট শিফট বন্ধ হোক। নাইট শিফট করে অনেক গরীব মানুষ পেট চালায়। আয়া থেকে শুরু করে আমরা সিনেমা শিল্পের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁরাও। যত দ্রুত ন্যায়বিচার হোক। এটা তিলোত্তমার একার বিচার নয়, আমরা সাধারণ মানুষেরাও বিচার চাইছি। যাতে আমরা নির্দ্ধিধায় রাস্তায় বেরতে পারি। এই ঘটনার বিচার না পেলে ধরে নিতে হবে, আমরা আর নিরাপদে নেই। আমরা সবাই সবটা বুঝতে পারছি। লুকিয়ে লাভ নেই। আইন কেনা যায় না।” – কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়
জনগণের ক্ষোভ বাড়ছে। এর থেকে বড় আন্দোলন আমি তো অন্তত দেখিনি। বিচার চাইছে গোটা বাংলা। সর্বস্তরের মানুষেরা। জনগণের এই আগুনটা যেন থাকে। – মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়
এমন জঘন্য অপরাধ যেন আর কোথাও না হয়, সেইজন্যই আমাদের এই আন্দোলন। এই প্রতিবাদ আমরা চালিয়ে যাব যতদিন না ন্যায়বিচার পাওয়া যাচ্ছে। – রুকমা রায়
যত দ্রত হোক বিচার চাই। – সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.