Advertisement
Advertisement
Smartwatch

কবজিবন্দি স্বাস্থ্যকেন্দ্র? আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে হয়ত ভুল তথ্য দিচ্ছে ‘স্মার্টওয়াচ’

অন্ধের মতো 'স্মার্ট ওয়াচ'-এর তথ্যকে বিশ্বাস করা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

Your smartwatch may be lying about your health
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:August 23, 2024 9:29 pm
  • Updated:August 23, 2024 9:29 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিজিটাল দুনিয়ায় কবজিবন্দি হয়েছে আস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্র। হৃদস্পন্দনের মাত্রা থেকে রক্তচাপ, শারীরিক শ্রম, ক্যালোরি ক্ষয় এমনকী রাতে কতখানি ঘুমোলেন সে তথ্যও আপনাকে জানিয়ে দিচ্ছে স্মার্টওয়াচ। কিন্তু জানেন কি, যে তথ্য দেখে আপনি নিশ্চিন্তে নিদ্রা যাচ্ছেন তা হয়ত পুরোপুরি সঠিক নয়। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

একাধিক রিপোর্ট বলছে, বর্তমান সময়ে দেশে হুড়মুড়িয়ে বিকোচ্ছে স্মার্টওয়াচ। যা হাতে পরে অন্ধের মতো তার তথ্যকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে দেশবাসী। তবে এই ঘটনা মোটেই ভালো ইঙ্গিত নয়, বরং সময় বিশেষে তা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। চিকিৎসকদের দাবি, সাধারণ মানুষ মনে করেন বাজারে আকছার যে স্মার্টওয়াচ বিকোচ্ছে এর মাধ্যমে হৃদরোগের সম্ভাবনা এড়ানো সম্ভব। এটি হৃদরোগের আগাম বার্তা দিয়ে দেয়। কিন্তু তা একেবারেই ঠিক নয়। আপনার স্মার্টওয়াচ যদি ভালো সংস্থা কিংবা ইন্ডিয়ান রেগুলেটরি অথরিটি সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েসনের অনুমোদন প্রাপ্ত হয় সেক্ষেত্রেও এগুলি নির্ভুল নয়। ৩ শতাংশ ক্ষেত্রে এগুলি ভুল তথ্য দেয়। কিন্তু তাতে অবশ্য হৃদরোগ আটকানো যায় না। কারণ, এটি শুধুমাত্র হৃদস্পন্দনের তথ্য দেয় আর কিছু নয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আব কি বার দেশি পোশাক, ডাক্তারদের সমাবর্তনে কালো ‘রোব’-এ নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের]

পাশাপাশি রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, ব্যবহারকারীর ক্যালোরি ক্ষয় সংক্রান্ত যে তথ্য স্মার্টওয়াচে দেখানো হয় তাতে ১৫ থেকে ২১ শতাংশ ক্ষেত্রে ভুলত্রুটি রয়েছে। ফলে যারা ওজন কমানোর জন্য এগুলি ব্যবহার করছেন ভুল তথ্যের জেরে তাঁদের শরীরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। একইসঙ্গে রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, কত ঘণ্টা ঘুম হয়েছে সে সংক্রান্ত যে তথ্য স্মার্ট ওয়াচ দেয় তাও পুরোপুরি নির্ভুল নয়। তদন্তে দেখা গিয়েছে ১০ শতাংশ ক্ষেত্রেই ভুল তথ্য দেয় স্মার্টওয়াচগুলি।

[আরও পড়ুন: দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী, তালিকায় কত নম্বরে মমতা?]

ফলে বিশেষজ্ঞদের দাবি, এগুলিকে পুরোপুরি বিশ্বাস করা যায় না, কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর মাধ্যমে ভালো অভ্যেস গড়ে তোলা যেতে পারে। কিন্তু কেউ যদি এটিকে ধ্রুব সত্য বলে মেনে নিয়ে ব্যবহার করা শুরু করেন তাহলে তা তাঁর জন্য অত্যন্ত বিপদের। কারণ আপনি হয়ত আধুনিক ঘড়িতে দেখছেন আপনার স্বাস্থ্য ঠিক আছে। তবে বাস্তবে আপনার শরীর ঠিক নেই। আবার উলটোটাও হতে পারে, ঘড়িতে দেখছেন আপনার স্বাস্থ্য ঠিক নেই, কিন্তু বাস্তবে আপনার শরীরে কোনও সমস্যা নেই। তাই নির্দিষ্ট বয়সের পর সকলের উচিত চিকিৎসকদের নির্দেশ মেনে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement