সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদ্যুৎ বিল যাতে মাত্রাতিরিক্ত না হয়, তার জন্য কতটা প্রয়াস চলে মাসভর। মাঝেমধ্যে ফ্রিজ বন্ধ রাখা, প্রয়োজন না হলে ফ্যান, জলের পাম্প কিংবা গিজার না চালানো, সবরকম চেষ্টাই করা হয়। তা সত্ত্বেও নাগালের বাইরে চলে যায় বিলের অঙ্ক। বিদ্যুৎ গতিতে ছুটতে থাকে মিটার। যা দেখে রীতিমতো চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয়। কিন্তু এমনটা হওয়ার কারণ কী? ভুল মিটার রিডিং রুখতে কী করণীয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বিল নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী কী করা যেতে পারে:
১. বাড়ির সমস্ত ইলেকট্রিক ডিভাইস বন্ধ রেখে দেখুন তখনও মিটারের পারা চড়ছে কি না।
২. মাসের শুরুতে মিটার রিডিং কত, লিখে রাখুন। মাস শেষে সেই সংখ্যা কত হচ্ছে, দেখুন।
৩. ১০০০ ওয়াটের ল্যাম্প কিংবা হিটার ঠিক একঘণ্টার জন্য চালিয়ে রাখুন। একঘণ্টায় কতটা মিটার উঠল, লিখে রাখুন।
৪. এক ইউনিটের ফারাক (১ কিলোওয়াট প্রতি ঘণ্টা) থাকলে বুঝবেন মিটার সঠিক ভাবে কাজ করছে।
৫. যদি এই অঙ্ক না মেলে, তাহলে বুঝবেন মিটার অতিরিক্ত দ্রুত কিংবা অতিরিক্ত ধীর গতিতে চলছে।
৬. মিটার রিডিংয়ের তুল্যমূল্য বিচারের জন্য দিনের একই সময়ে মিটার বক্সের দিকে নজর রাখুন।
৭. যে বিষয়গুলি নথিভুক্ত করছেন, তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকলে বিদ্যুৎ পরিষেবা গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
মিটার বিডিং ভুল হলে কী করবেন?
বিদ্যুৎ বিভাগে নিজের সমস্যার কথা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। সেই সঙ্গে বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখার আর্জি জানাতে পারেন। এই পরিষেবার ক্ষেত্রে খানিকটা পকেট ফাঁকা হলেও ভবিষ্যতে আর আপনাকে যে বিপুল অর্থের বিল জমা দিতে হবে না, সেটাই স্বস্তি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.