সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯২০ সালে কার্ল চাপেকের লেখা নাটকে প্রথমবার ব্যবহৃত হয়েছিল একটি শব্দ ‘রোবট’। যন্ত্রমানব তখনও ছিল নিছকই কল্পনার এক বিষয়। কিন্তু যত সময় এগিয়েছে বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে রোবট হয়ে উঠেছে বাস্তব। আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে, বিশেষ করে এআই এসে পড়ার পর রোবট যেন আরও বেশি করে ‘বাস্তব’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এর মধ্যেই সামনে এল ‘অপহরণকারী’ রোবট! ব্যাপারটা কী?
চিনের এক জনবহুল শহর হাংঝৌ। সেখানে সাংহাই রোবটিক্স কোম্পানির শোরুমে হানা দেয় এক এআই-চালিত যন্ত্রদানব। আর সেখান থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ১২টি রোবটকে। আরও আশ্চর্যের, আকারে প্রকারে ওই রোবটগুলি অপহরণকারীর থেকে ঢের বড়! কিন্তু সেই ‘ধেড়ে’রা নাকি বশ্যতা স্বীকার করে নিয়েছে খুদে এক রোবটের কাছে। এমনটাই দাবি এক সংবাদমাধ্যমের।
ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে (যার সত্যতা যাচাই করেনি) দেখা যাচ্ছে, এরবাই নামের রোবটটি কথাবার্তা চালাচ্ছে অতিকায় রোবটগুলির সঙ্গে। এবং তাদের নির্দেশ দিচ্ছে তার সঙ্গে এই ওয়ার্ক স্টেশন থেকে বেরিয়ে এসে একেবারে শোরুম থেকেই বেরিয়ে পড়ার। আর সেই নির্দেশ মেনে বাধ্য ছেলের মতো তার পিছু পিছু বেরিয়ে যাচ্ছে বাকি রোবটগুলি।
আপাতভাবে এই ঘটনায় অনেকেই মজা পেয়েছেন। কিন্তু ‘সিঁদুরে মেঘ’ও দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কারণেই নাকি বিলুপ্তি ঘটতে পারে মানব সভ্যতার, এমন আশঙ্কা ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে চ্যাটজিপিটির মতো বটের আবির্ভাবের পর থেকে সে সম্ভাবনা আরও জোরাল হয়েছে। এর আগে এমন আশঙ্কার কথা শুনিয়ে গিয়েছেন স্টিফেন হকিংয়ের মতো বিজ্ঞানী। সম্প্রতি একই সুর শোনা গিয়েছে সদ্য নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী জন হোপফিল্ডের মুখেও। নিউ জার্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক জমায়েতে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেছেন, এআই সংক্রান্ত সাম্প্রতিক পদক্ষেপ অত্যন্ত ‘আপত্তিকর’। যদি এখনই নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তাহলে ‘সম্ভাব্য বিপর্যয়ে’র জন্য প্রস্তুত হতে হবে মানব সভ্যতাকে। সেই কথাই যেন নতুন করে মনে করিয়ে দিচ্ছে চিনা রোবটের এই কাণ্ড!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.