Advertisement
Advertisement

Breaking News

কংগ্রেস

জানেন, কার পরামর্শে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেস যোগ দিচ্ছেন শত্রুঘ্ন সিনহা?

৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন 'শটগান'।

Lalu Prasad advised Shatrughan Sinha to join Congress
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:April 1, 2019 11:40 am
  • Updated:April 1, 2019 11:40 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে কেন্দ্র থেকে গত লোকসভা নির্বাচনেও জয় পেয়েছিলেন, সেখানেই তিনি ব্রাত্য। প্রার্থী করা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদকে। বেশ কিছুদিন থেকেই জল্পনা চলছিল যে, তিনি হয়তো কংগ্রেসে চলে যেতে পারেন। দিনকয়েক আগেই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার পরই অভিনেতা-সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা জানিয়ে দেন যে, তিনি এপ্রিলের শুরুতেই কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। আর তাঁর কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পিছনে যে পারিবারিক ‘বন্ধু’ লালুপ্রসাদ যাদবের পরামর্শই শুনেছেন, সে কথাই রবিবার জানালেন পাটনা সাহিবের সাংসদ।

শত্রুঘ্নের কন্যা বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা ক্ষোভের সঙ্গে আগেই জানিয়েছিলেন যে, “বিজেপিতে যথাযথ সম্মান জানানো হয়নি বাবাকে। সেই কারণে অনেকদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসা উচিত ছিল।” আর কন্যার মন্তব্যের পর রবিবার বিজেপির প্রতি নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন শত্রুঘ্ন। তিনি বলেছেন, “বিজেপির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তাই সেই দল থেকে অন্যত্র যাওয়া সত্যি বেদনাদায়ক। বহুদিন সম্পর্ক হলেও সাম্প্রতিককালে দল মোটেও ভাল ব্যবহার করেনি। এটা ভেবেই খারাপ লাগছে, অটলবিহারী বাজপেয়ীজির আমলে দলের সকলের মতকেই গুরুত্ব দেওয়া হত। দলে একটা গণতন্ত্র ছিল। কিন্তু এখন বিজেপিতে ‘ওয়ান ম্যান শো’ এবং ‘টু ম্যান আর্মি’। সবচেয়ে বড় কথা, দলের প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবানী, মুরলী মনোহর যোশীকেও একেবারেই উপযুক্ত সম্মান দেয়নি। যা মেনে নেওয়া যায় না।” একই সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, “কংগ্রেস প্রকৃত অর্থেই জাতীয় দল। লালুপ্রসাদ যাদবের পরামর্শেই কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছি।” এমনকী, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দে্যাপাধ্যায়, সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো নেতাও চেয়েছিলেন তিনি যেন বিজেপি ছেড়ে অন্য দলে যোগ দেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাবার কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে কী বললেন সোনাক্ষী সিনহা?]

৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। কেন কংগ্রেসে যোগ দিলেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে, “দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল কংগ্রেসের। শুধু তাই নয়, এই দলের সঙ্গেই নাম জড়িয়ে রয়েছে মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, বল্লভভাই প্যাটেল।” পাশাপাশি, রাহুল গান্ধীর মধ্যে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যথেষ্ট যোগ্যতা রয়েছে বলেও দাবি করেছেন শত্রুঘ্ন। তিনি কি কংগ্রেসের হয়ে পাটনা সাহিবে রবিশংকর প্রসাদের বিরুদ্ধে প্রার্থী হবেন? এর উত্তরে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। শুধু জানিয়েছেন, রবিশংকর প্রসাদ তাঁর পারিবারিক বন্ধু। প্রার্থী হওয়ার জন্য তিনি ইতিমধ্যেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিহারের মানুষই আসল রায় দেবেন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: রাহুলের সঙ্গে দেখা শত্রুঘ্নর, নবরাত্রিতেই ‘হাতে’ হাত রাখবেন শটগান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement