চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: কমিশনের আপত্তি সত্ত্বেও রবিবার বাবুল সুপ্রিয়র প্রচারে বাজল “এই তৃণমূল আর না” গানটি। আগেই বাবুলের গানটি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। শনিবারও কমিশন আবারও তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়। কিন্তু কমিশনের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করেই দিনভর গান বাজতে থাকে বাবুলের প্রচার গাড়িতে। বাবুলের দাবি, কমিশনের তরফ থেকে গানটি ব্যান করার জন্য কোনও আইনি চিঠি আসেনি। গানটি নিয়ে কলকাতা ও দিল্লি বিজেপির লিগাল সেল দেখছে। তাঁদের নির্দেশ মতো গানটি যথারীতি বাজছে। জানা গিয়েছে, নিয়ম মতো নির্বাচনের সময় দলীয় প্রচারে গান বাজাতে হলে কমিশনের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু অনুমতি ছাড়াই তাঁর গান বাজানো হচ্ছে দিকে দিকে। বাবুলের মতে বিজেপির লিগ্যাল টিমের পরামর্শ মেনেই গান বাজানো হচ্ছে। এর আগে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে শোকজ করা হয়।
বাবুল জবাব দিলেও, তাতে সন্তুষ্ট হয়নি কমিশন। রিপোর্ট পাঠানো হয় দিল্লিতে। এরপর, বিজেপির তরফে গানের লিরিকের বা শব্দের অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়। তাতে শব্দ পরিবর্তন করতে বলে নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে তা না করায়, এবার সরাসরি গান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। বাবুল সুপ্রিয় ২০১৪-র কমিশনের একটি চিঠিকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে বলেন গানটি টিভিতে, রেডিওতে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনী প্রমোট বা পয়সা দিয়ে বাজানো হচ্ছে না। তাই বিজেপি লিগ্যাল সেলের মতে কমিশন এই শোকজ নোটিস পাঠাতেই পারে না। শোকজ পাঠানো মানে কমিশন নিজেই নিজের তৈরি করা আইনকে ভাঙছে। বাবুল সুপ্রিয় বলেন, বহুল প্রচলিত স্লোগানকে সুর দিয়ে গান করা হয়েছে। এই সমস্ত স্লোগান সব পার্টির মিটিংয়ে বাজে। সুর করলেই তা বেআইনি হয় কী করে। তিনি বলেন, দিল্লি লিগ্যাল সেল গোটা বিষয়টি দেখছে। তাঁদের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত গান বাজবে।
[আরও পড়ুন: বাবুল সুপ্রিয়র বিতর্কিত সেই গান নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কমিশন]
বাবুলের দাবি, এর আগে যে চিঠি এসেছিল তাতে কথাগুলি পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছিল। কোনও ব্যান শব্দ ব্যবহার ছিল না। তাঁর অভিযোগ গানটির জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়ে তৃণমূল কোনও কোনও জায়গায় থানায় অভিযোগ জানাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.