চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: বাঁকুড়ার সাংসদ ছিলেন মুনমুন সেন। এবার প্রার্থী হয়েছেন আসানসোলে। সেই মুনমুন সেনের প্রচারে বাঁকুড়ার বিহারীনাথ থেকে সুনীল বাউল এসে হাজির আসানসোলে। আসানসোলের পথে পথে শোনাচ্ছেন মা-মাটি-মানুষের গান। গেরুয়া পোশাক, মাথায় পাগড়ি ও হাতে একতারা নিয়ে গান গাইছেন, “জন্ম নিয়ে দেখেছিলাম যে বাংলা মাকে, এসো তাকে নতুন করে দেখি দিদির চোখে। হবে মা-মাটি-মানুষের জয়… হবে মা-মাটি-মানুষের জয়।” ভোট উপলক্ষ্যে কোনও নেতা বা দলের নির্দেশ তিনি আসেননি। এসেছেন একেবারে নিজের ইচ্ছায়। গাইছেনও নিজের ইচ্ছায়। বাউল গান গেয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করেই তাঁর দিনকাটে। বছরের অন্য সময় ট্রেনে বা বাঁকুড়ার পথে পথেই বাউল গান গেয়ে বেড়ান। মাঝে মাঝে চৈত্রের বিভিন্ন মেলাতে ডাক পেলে চলে যান ভিন জেলায়।
[আরও পড়ুন: বারাবনিতে প্রচারে সাঁওতালি নৃত্যে কোমর দোলালেন মুনমুন সেন]
তবে ভোটের আবহে বিহারীনাথের বাসিন্দা সুনীল বাউল বা সুনীল দাশ দামোদরের বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে চলে এসেছেন শিল্পশহরে। প্রথমে গোষ্ঠগোপাল দাশ বা পূর্ণচন্দ্র বাউলের গান গাইছেন। ভিড় জমে যাওয়ার পর গাইছেন “মা মাটি মানুষের গান”। সুনীল বাউল বলেন, তাঁর ইচ্ছে আছে মুনমুন সেনের সঙ্গে দেখা করার। তাঁর বিশ্বাস, পথে প্রান্তরে গাইতে গাইতেই হয়তো দেখা হয়ে যাবে সুচিত্রা কন্যার সঙ্গে। গত লোকসভা ভোটেও তিনি মুনমুন সেনের হয়ে গান গেয়েছিলেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, মুনমুন সেন বাঁকুড়ার জন্য কী করেছেন। তাঁদের শোনাচ্ছেন বাঁকুড়ার উন্নয়নের কথা, দিদির উন্নয়নের কথা। গানে গানে বলছেন “সততার প্রতীক দিদির লড়াই অনেক বড়, পারবে না আটকাতে যতই আঘাত করো”। সুনীল বলেন বাঁকুড়ায় তথ্যদফতরে তাঁর নাম নথিকরণ করা আছে। মাঝে মাঝেই তিনি ডাক পান। তবে সারা বছর তিনি পথে পথে ট্রেনে বাসেই গান করে বেড়ান। ভোটের কয়েকটা দিন তিনি আসানসোল, বার্নপুর, সালানপুর অঞ্চলে গান গেয়ে বেড়াবেন। তারই মধ্যে দিদির উন্নয়নের বার্তাও তুলে ধরবেন।
ছবি: মৈনাক মুখোপাধ্যায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.