সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একা শোভা দে-তে রক্ষা নেই, দোসর রামগোপাল ও সানাল শশীধরণ৷ রিওতে অ্যাথলিটদের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন লেখিকা শোভা দে৷ এবার একটি রূপোর পদক প্রাপ্তি নিয়ে এত হইচই কেন, সে প্রশ্ন তুললেন দুই পরিচালক৷ একজন বলিপাড়ার রামগোপাল ভার্মা৷ অন্যজন মালয়ালম ছবির পরিচালক সানাল কুমার শশীধরণ৷
রিওতে যখন একের পর এক অ্যাথলিট ব্যর্থ হচ্ছেন তখন শোভা দে শ্লেষ করে বলেছিলেন, অ্যাথলিটদের কাজ হল শুধু যাওয়া আর সেলফি তোলা৷ তাঁর এই মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে৷ এরপরই দীপার নজরকাড়া পারফরম্যান্সে পরিস্থিতি বদলে যায়৷ তিনি পদক পাননি ঠিকই, কিন্তু ভারতীয় অ্যাথলিটদের প্রতি দেশবাসীর দৃষ্টিটাই ফিরিয়ে দেন তিনি৷ এরপরই কুস্তিতে ব্রোঞ্জ নিয়ে আসেন সাক্ষী মালিক৷ তারপরই দেশের জন্য রূপো এনে দেন সিন্ধু৷ তাঁদের সাফল্য সেলিব্রেট করছে গোটা দেশ৷ কিন্তু ব্যতিক্রম রামগোপাল ও সানাল৷ প্রায় শোভা দে-র পথ ধরেই অ্যাথলিটদের পদকজয় নিয়ে হইচইয়ের বিরোধিতা করে প্রশ্ন তুললেন তাঁরা৷ রামগোপালের প্রশ্ন, একটা রূপো নিয়েই যদি ইন্ডিয়া ইনক্রেডিবল হয়, ৪৬টা সোনা ৩৭টি রূপো পেলে কী হবে? আমেরিকার মতো ছোট দেশের তুলনায় ভারতের পারফরম্যান্স যে কত দৈন্য, তাই-ই তুলে ধরেন তিনি৷ একধাপ এগিয়ে মালয়ালামি পরিচালক সোনাল জানান, ‘সবাই সিন্ধুর রূপো নিয়ে সেলিব্রেট করছে, আমি যদি তাতে থুতু ফেলি তবে কী হবে? এটা নিয়ে এত সেলিব্রেট করার কী আছে?’
If for 1 silver we call ourselves incredible india what should US call itself for 46 gold 37 silver and 49 bronze..just asking?
— Ram Gopal Varma (@RGVzoomin) August 22, 2016
যে প্রশ্ন তাঁরা তুলেছেন তা অমূলক নয়, কিন্তু যে ভাষায় সিন্ধুর পদকজয়ের কৃতিত্ব খাটো করলেন সানাল তা বিস্মিত করেছে দেশবাসীকে৷ তিনি নিজে একজন শিল্পী, সৃষ্টিশীল মানুষ৷ একজন শিল্পী হয়েও কী করে এক অ্যাথলিটের কৃতিত্বকে এই ভাষায় খাটো করতে পারেন তিনি, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.