সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “আমরা চেয়েছিলাম অনিল কুম্বলেই টিম ইন্ডিয়ার কোচের পদে থাকুক। কিন্তু ও নিজেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।” বিশাখাপত্তনমের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের সেই বিতর্কিত অতীতের কথাই ফের উঠে এল ভিভিএস লক্ষ্মণের মুখে।
বিরাট কোহলি ও অনিল কুম্বলের মনোমালিন্যের কথা এখন আর ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে অজানা নয়। ২০১৬ সালে বিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা কমিটিই ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে বেছে নিয়েছিল অনিল কুম্বলেকে। যে কমিটিতে রয়েছেন শচীন তেণ্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং লক্ষ্মণ। বিরাটদের হেডস্যার হিসেবে তাঁদের প্রথম পছন্দ ছিলেন জাম্বোই। কুম্বলে দায়িত্ব নেওয়ার পর একাধিক সাফল্যও পায় টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু ক্রমেই ড্রেসিংরুমের চেহারা পালটাতে শুরু করে। অধিনায়ক কোহলি এবং কোচ কুম্বলের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে দূরত্ব ক্রমেই বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে যা প্রকাশ্যে আসে। সেই দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। বিরাট হাবেভাবে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, কোচ হিসেবে কুম্বলেকে না-পাসান্দ তাঁর। তারপরই কোচের দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন কুম্বলে। তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে দলে যোগ দেন রবি শাস্ত্রী।
এদিন লক্ষ্মণ জানালেন, তিনি ও উপদেষ্টা কমিটির বাকি দুই সদস্য শচীন ও সৌরভ চেয়েছিলেন কোচ হিসেবে কুম্বলেই কাজ চালিয়ে যান। বিরাট অবশ্য নিজের সীমা পার করেননি। তবে বিরাটের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব এতটাই বেড়ে গিয়েছিল, যে কুম্বলে নিজেই অনুভব করেন, এই অবস্থায় তাঁর সরে দাঁড়ানোই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে। গোটা ঘটনাটি অত্যন্ত তিক্ত স্মৃতি হয়ে রয়ে গেল। লক্ষ্মণ আরও বলেন, “আমরা সবসময়ই বলি সিএসি (উপদেষ্টা কমিটি) কোনও ম্যারেজ কাউন্সেলর অফিস নয়। এখানে আমরা কোনও পদের জন্য় সেরা মানুষটিকে খুঁজে বের করার কাজ করি। কিন্তু দু’জনের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা আমাদের কাজ নয়। দুর্ভাগ্যবশত কোহলি ও কুম্বলের রসায়নটা জমেনি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.