সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের কাজে স্বচ্ছতা আনতেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত হয়েছিল লোধা কমিশন। কিন্তু সেই কমিশনের সুপারিশ এখনও বাস্তবায়িত করতে সক্ষম হয়নি বোর্ড। নানান টালবাহানা চলছে। আর এতেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি আর এম লোধা। তাঁর মতে, বোর্ড তো সুপারিশ মানছেই না, এমনকী সুপারিশের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিই বাদ দিতে চাইছে।
এই প্রসঙ্গে গত বুধবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘লোধা কমিশন যে সুপারিশগুলি করেছিল, তার মধ্যে যেগুলি গুরুত্বপূর্ণ সেগুলিই বাদ দিয়েছে বিসিসিআই। কারোর শরীর থেকে হৃৎপিণ্ড, কিডনি, ফুসফুস বাদ দিলে যেরকম হবে, সেভাবেই কমিশনের সুপারিশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিই বাদ দিতে চাইছে বোর্ড। এর ফলে সেটির গুরুত্বই হ্রাস পাচ্ছে। আমি জানি না কী হচ্ছে।’ এরপরই তিনি প্রশ্ন তোলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও কেন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়িত করতে এত সময় লাগাচ্ছে বোর্ড? রিভিউ পিটিশন খারিজ করা সত্ত্বেও কমিশনের সুপারিশ বদলের প্রশ্ন কেন উঠছে? একথাও জিজ্ঞেস করেন তিনি। এরপরই হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, ‘যদি কমিশনের সুপারিশগুলি বোর্ড না মানে তাহলে ধরে নিতে সেগুলি কার্যকর করতে রাজি নয় তাঁরা। আশা করি এরপর শীর্ষ আদালতই এব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।’
এদিকে, বুধবারই বোর্ডের বিশেষ সাধারণ বৈঠকে(এসজিএম) লোধা প্যানেলের প্রস্তাব মানা বা না মানা নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বোর্ড তাদের যুক্তিতেই অটুট থাকল। তাদের মূল আপত্তি ছিল সর্বোচ্চ বয়সসীমা (৭০ বছর), কুলিং অফ (৩ বছর) এবং কাজের সময়সীমা (রাজ্য এবং বোর্ডের প্রতিটার ক্ষেত্রে ৯ বছর করে) নিয়ে। বুধবার বৈঠকের পর বোর্ডসচিব অমিতাভ চৌধুরি বলেন, তাঁরা ওই প্রস্তাবগুলো বাদ দিয়ে বাকিগুলো মানতে রাজি। যে পাঁচটা প্রস্তাব বোর্ড মানতে চায়নি, সেগুলি হল– (১) এক রাজ্য এক ভোট, (২) নিযুক্ত এক্সিকিউটিভের ক্ষমতা, (৩) অ্যাপেক্স কাউন্সিলের পরিধি এবং কার্যনিধি, (৪) বয়সসীমা, কুলিং অফ, কাজের সময়সীমা এবং (৫) জাতীয় নির্বাচক কমিটির পরিধি। বোর্ড সচিব অমিতাভ চৌধুরি প্রশ্ন তুললেন, রেলওয়ে বা সার্ভিসেসের ভোটিং অধিকার যদি থাকে তা হলে তাদের সরকারি কর্মী বা মন্ত্রীকে প্রতিনিধিত্ব করতে দেওয়া উচিত। এমনটা যে হবে, সেটা আগেই মোটামুটি জানা ছিল। তবে এর পাশাপাশি, বুধবারের এসজিএমে বোর্ডের সিইও রাহুল জোহরিকে ঢুকতে দেওয়া হল না। কারণ, ওই মিটিংয়ে ঢোকার ক্ষমতা ছিল শুধু বোর্ড সভাপতি, সহ-সভাপতি, সচিব, সহ-সচিবের মতো পদাধিকারীদের। রাহুল কোনও পদাধিকারী নন, তিনি বোর্ডের বেতনভুক কর্মী। এই যুক্তিতে তিনি বাইরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.