সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেসারদের আইপিএল খেলার প্রয়োজন নেই। অধিনায়ক হিসেবে এমনটাই মনে করছেন বিরাট কোহলি। কিন্তু কেন? আসলে আইপিএল-এর দিন দশেক পরই ইংল্যান্ডে শুরু বিশ্বকাপ। আর তাই বিশ্বকাপের আগে ফাস্ট বোলারদের বিশ্রাম দেওয়ার জন্য বোর্ডকে পরামর্শ দিলেন বিরাট। ভারতীয় অধিনায়ক মনে করছেন, কুড়ি-বিশের টুর্নামেন্ট থেকে ভারতীয় ফাস্ট বোলারদের দূরে সরিয়ে না রাখলে বিশ্বকাপে বিপদে পড়বে ভারত।
আগামী বছর আইপিএল শুরু হওয়ার কথা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে। শেষ হবে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ। অথচ ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ হবে ৩০ মে থেকে ১৪ জুলাই। অর্থাৎ যাঁরা আইপিএল খেলবেন তাঁদের বিশ্রাম পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। দু’টো পিঠোপিঠি টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে বিপদে পড়বেন বোলাররা। তেমনই মনে করছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। কিছুদিন আগে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসনিক কমিটি বা সিওএ-র সঙ্গে বসেছিলেন কোহলি, রোহিত শর্মা, রবি শাস্ত্রী থেকে শুরু করে অনেকেই। সেই সভায় নাকি কোহলি সিওএ-কে জানান, যদি সম্ভব হয় আগামী বছর আইপিএল থেকে ভারতীয় পেসারদের দূরে সরিয়ে রাখার ব্যবস্থা করুক। তাহলে বিশ্বকাপে ভারত অনেক ভাল ফল করতে পারবে। কোহলির কথাবার্তায় উঠে আসে জশপ্রীত বুমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমারদের নাম। তিনি এও জানান, এইসব ফাস্ট বোলারদের যতটা সম্ভব টি-২০ খেলতে যেন না দেওয়া হয়। বোর্ড কর্তারা কোহলির বক্তব্য শুনলেও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। বরং সিওএ জানিয়ে দিয়েছেন, অবস্থা বুঝে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
আসলে বিসিসিআইকে ভাবাচ্ছে বেশ কয়েকটি দিক। বুমরাহদের খেলতে না দিলে তাঁদের আর্থিক দিকটা নতুন করে ভাবতে হবে বোর্ডকে। যেহেতু প্রতিটি ক্রিকেটার আইপিএল থেকে মোটা অর্থ পান, তাঁদের খেলতে না দিলে সেই আর্থিক দিক পুষিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা সামনে চলে আসবে। সেই সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা মানবে কিনা সেটাও দেখতে হবে। যেহেতু এই ফাস্ট বোলারদের সঙ্গে দলগুলির চুক্তি হয়ে আছে। সেদিক দিয়ে দেখলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এই দলে রয়েছেন বুমরাহ ও হার্দিক পাণ্ডিয়া। তবে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে যদি বোলারদের খেলতে নিষেধ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন কোহলি তাহলে ব্যাটসম্যানরা কীভাবে অনুমতি পান? কোহলি স্বয়ং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক। রোহিত নেতৃত্ব দেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। রাহানে রাজস্থানকে। সুতরাং বোর্ডকে অনেক ভেবেচিন্তে এগোতে হবে। তবে বোর্ড ভাবছে যদি আইপিএল-এর প্রথম বা শেষ ধাপে খেলার অনুমতি দেওয়া হয় তাহলে বোলাররা যেমন একদিকে বিশ্রাম পাবেন, তেমনই ম্যাচ প্র্যাকটিসও হয়ে যাবে। আসলে বোর্ডকে ভাবতে বাধ্য করেছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। তারা জানিয়ে দিয়েছে, যে যেখানে খেলুন ৩০ এপ্রিলের পর জাতীয় ক্যাম্পে এসে প্রত্যেককে যোগ দিতে হবে। আর এই বিষয়টিই ভারতীয় বোর্ডকেও ভাবতে বাধ্য করছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.