সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি পারেনি, পারেনি মুম্বই। গোয়া কিংবা কোচি কী করবে কেউ জানে না। জানেনা গুয়াহাটি কোন দিশা দেখাবে। তবে পাঁচটা ভেন্যু যাই দেখাক, জোর দিয়ে বলা যায়, কলকাতা থাকবে ব্যতিক্রমী। কল্লোলিনী কলকাতার ফুটবল নিয়ে পাগলামি ঠিক কেমন, তার দেখা যাবে আগামীকাল।
রবিবার কী দেখাবে যুবভারতী? দেখাবে মাঠ ভরানোর জন্য স্কুলছাত্রদের দরকার পড়ে না। দেখাবে ফুটবল জনতার হৃদয়ের স্পন্দন। বোঝাবে, কেন কলকাতাকে ভারতীয় ফুটবলের মক্কা বলা হয়। দিল্লিতে পড়েছে ভারতের ম্যাচ। সুতরাং সেখানে সমর্থকদের ভিড়ই স্বাভাবিক। তা সত্ত্বেও গ্যালারি ভরাতে বিলোতে হয়েছে কমপ্লিমেন্টারি কার্ড। স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারস্থ হতে হয়েছে তারা যেন মাঠে আসে। মুম্বইও তাই। কিন্তু ব্যতিক্রম থাকবে কলকাতা। যেখানে ভারতীয় দল না থাকলেও টিকিট নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে হাহাকার। রবিবার বিকেল ৫টায় প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-চিলি। দ্বিতীয় খেলা ৮টায়। যেখানে ইরাকের বিরুদ্ধে নামবে মেক্সিকো। অচেনা ফুটবলারদের ম্যাচ দেখতে মুখিয়ে রয়েছে শহরবাসী। প্রথম দিনের টিকিট শেষ। অনলাইনে চিলি ম্যাচের টিকিট কয়েকদিন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে।
সফরকারী দলগুলিকে কলকাতায় স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছেন, ফুটবলের সবচেয়ে বড় উৎসবের অপেক্ষায় কলকাতা।
I extend a very warm welcome to all the players, delegates and the organisers
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 7, 2017
Kolkata is waiting for the biggest celebration of football. My best wishes to all
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 7, 2017
ইংল্যান্ড-চিলি ম্যাচটাই যে আগামীকাল আকর্ষণের মাত্রাকে বহুদূর নিয়ে যাবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে খেলার আগে এই দুটি দল দুই উপমহাদেশের রানার্স আপ তকমা নিয়ে এখানে এসেছে। ফলে এই দুই দল দেখাবে তারা এখানে এমনি এমনি আসেনি। তাই বলে কি ইরাক ও মেক্সিকো ম্যাচ তেমন জমবে না? একদম তা নয়। প্রথম দু’টি দল যদি তাদের নিজ নিজ উপমহাদেশের রানার্স আপ দল হয় তাহলে পরের দু’টি দল কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হয়ে এখানে এসেছে। তাই এই ম্যাচেও নিঃসন্দেহে থাকবে আধুনিক ফুটবলের ছোঁয়া।
রাজ্য সরকার যাতায়াতের জন্য পর্যাপ্ত বাসের ব্যবস্থা করেছে। ১১০টি শাটল বাস যুবভারতী থেকে পাওয়া যাবে। যাতে অনায়াসে পৌঁছে যাওয়া যাবে মিলনমেলা, উল্টোডাঙা, করুণাময়ীতে। ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়ামে মোতায়েন থাকবে তিন হাজার পুলিশ কর্মী। পাশাপাশি মাঠের ভিতর থাকবে ৫০০ বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে ফেলা হচ্ছে যুবভারতীকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা থাকছে। এছাড়া থাকবে প্রচুর স্বেচ্ছাসেবী। কোথায় কীভাবে গেলে অনায়াসে মাঠে ঢোকা সম্ভব হবে তা জানাবে তারা। সব মিলিয়ে যুবভারতী প্রস্তুত। এখন শুরু বল গড়ানোর অপেক্ষা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.