স্টাফ রিপোর্টার: খেলা শুরুর আগেই সভ্য গ্যালারি দখল নিয়ে বিতর্কের ঢেউ উঠল মোহনবাগানে। বহু প্রকৃত সদস্য মাঠে ঢোকার সুযোগই পেলেন না। বুধবার খেলা শুরুর প্রায় এক ঘন্টা আগে সদস্য গ্যালারি ভরতি হয়ে যায়। দেখা যায়, গ্যালারিতে যারা বসে তাদের মধ্যে অনেকেই প্রকৃত সদস্য নয়। আসলে সচিব ঘনিষ্ঠরা সন্তর্পণে খেলা শুরুর বহু আগেই অনেককে গ্যালারিতে ঢুকয়ে দিয়েছিল। যারা সভাপতির নামে স্পনসর নিয়ে নেতিবাচক ফেস্টুন বুকে সেঁটে বসছিল গ্যালারিতে। আসলে তারা জানত, এমন দিনে নির্বাচনের প্রচার করা হলে কারও কিছু বলার থাকবে না। ফলে বহু প্রকৃত সদস্যকে এদিন পুলিশ ঢুকতে বাধা দেয়।
[৮ বছর পর লিগে শাপমোচন, ইতিহাস গড়ে বাগানের নয়া ‘ক্ষিদ্দা’ শংকরলাল]
যথারীতি খেলা শুরুর আগে এই নিয়ে পুলিশ-সদস্যদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় বাক-বিতন্ডা। তখন সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে আসেন স্বয়ং সহ-সচিব সৃঞ্জয় বোস। তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। বোঝানোর চেষ্টা করেন, সদস্য নন এমন বহু অবাঞ্ছিত জনতা দখল নিয়েছে সদস্য গ্যালারি। সুতরাং পুলিশ তাদের চিহ্নিত করে মাঠের বাইরে বের করে দিক। কিন্তু পুলিশের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। সৃঞ্জয়ের অনুরোধে কিছু সদস্যকে অবশেষে পুলিশ ঢোকানোর অনুমতি দেয়। পরে টুটু বোস বলছিলেন, “এমন আনন্দের দিনে কেউ এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার কথা তুলে ধরার চেষ্টা চালাতে পারে? ভাবতেও লজ্জাবোধ করছি। আমি কিনা হব মোহনবাগান বিরোধী?” পরে সৃঞ্জয় আক্ষেপের সুরে বলেন, “ভাবতে খুব কষ্ট হচ্ছে, প্রকৃত সদস্যরা কিনা মাঠে ঢুকে খেলা দেখার সুযোগ পেল না। অথচ গ্যালারিতে বিনা সদস্যরা কিনা বসে। এসব ভাবা যায়?”
[মাঠে ঢুকে উৎসব সবুজ-মেরুন সমর্থকদের, বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস ঠেকাতে ব্যর্থ পুলিশ]
এতসব কিছুর পরেও সভাপতি নিজে ফুটবলারদের সঙ্গে দেখা করতে ঢুকে পড়েন ড্রেসিংরুমে। ডিকা-হেনরিদের কাছে টেনে নিয়ে ঘোষণা করেন, “লিগ জয়ের জন্য আমি তোমাদের ব্যক্তিগতভাবে দু’লাখ টাকা দিচ্ছি। এবার তোমাদের লক্ষ্য হোক আই লিগ। যেভাবেই হোক আমাদের এবার আই লিগ চাই। সেই লক্ষ্যে তোমরা এগোতে হবে। তোমাদের আর্থিক সমস্যা কখনও হবে না।” সভাপতিকে নিয়ে ততক্ষণে ড্রেসিংরুমে মেতে উঠেছেন ফুটবলাররা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.